মো. জসীম উদ্দিন, বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগের ফুলের তোরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২ টার দিকে) প্রথম প্রহরে বাউফল শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ওই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান হাসান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে স্থানীয় সাংসদ আ.স.ম ফিরোজের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর ইউএনও জকির হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর সঞ্চালক মাইকে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বলেন। তখন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্থানীয় সাংসদ আ.স.ম ফিরোজ পক্ষ এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক পক্ষের সমর্থকেরা ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নেয়। তখন দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে সাংসদ পক্ষের নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুকের নেতৃত্বে কয়েকজন উপজেলা ছাত্রলীগের ফুলের তোরা ভেঙে ফেলে। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পুলিশ হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে দুই পক্ষই মিছিল দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি থেকে আসা হাইব্রিড আওয়ামী লীগ ইব্রাহিম ফারুকের নেতৃতে কতিপয় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাঁদের ফুলের তোরা ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।’
এ বিষয়ে ইব্রাহিম ফারুক বলেন, ‘সবার সামনেই ওই ঘটনা ঘটেছে। তিনি ওই ঘটনার জন্য দায়ী না।’ তিনি ওই ঘটনার জন্য সাইদুর রহমানকে দায়ী করেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। তবে পুলিশ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেয়নি।’ ফুলের তোরা ভাঙা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই পক্ষের ঠেলাঠেলির কারণে ফুলের তোরা ভাঙতে পারে।’
লিড নিউজপটুয়াখালি