৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

বাউফলে মা-মেয়ে ধর্ষণের ঘটনায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২১ অপরাহ্ণ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মা ও মেয়ে গণধর্ষণের আলোচিত মামলার অন্যতম আসামি যুবলীগ নেতা মো. সোহেল মৃধাকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সাড়ে তিন মাস পর সোহেলকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের জনতার মোড় এলাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাঁকে বাউফল থানায় আনা হয়েছে।
সোহেল নাজিরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি।
এ নিয়ে ধর্ষণ মামলার তিন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার অপর দুজন হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি নূর আলম মল্লিক (৩৫) ও রাসেল কবিরাজ (৩০)। তাঁরা বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের মা ও তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়ে গত ১১ জুন ট্রলারে করে নদীতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পরদিন ১২ জুন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রহিম মীর (৩৪), সহসভাপতি নূর আলম মল্লিক (৩৫), ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মো. সোহেল মৃধাসহ (৩২) পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয়জনের নামে বাউফল থানায় মামলা হয়।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুন মেয়েটি তাঁর মায়ের সঙ্গে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে বাউফলের শৌলা এলাকায় বেড়াতে যান। সেখান থেকে নিমদী লঞ্চঘাট এলাকায় বেড়াতে আসেন। সেখানে পূর্বপরিচিত হারুন মৃধা নামের যুবলীগের এক কর্মী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে বিকেলে ট্রলারে করে তাঁদের তেঁতুলিয়া নদীতে নিয়ে যান। সন্ধ্যার দিকে একটি চরের কাছে নিয়ে হারুন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা রহিম মীর ও নূর আলম মল্লিক এবং যুবলীগের নেতা সোহেল মৃধাসহ ছয় যুবক তাঁদের ধর্ষণ করেন। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নূর আলম মল্লিককে ধরে ফেলে। বাকিরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নূর আলমকে আটক করে।
৩ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমন্তাজ এলাকা থেকে রাসেল কবিরাজ নামের এক আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। নূর আলম ও রাসেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা সোহেল স্বীকার করেছেন। আগামীকাল তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

22 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন