বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে সড়কের নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। মাঠের মধ্যে গর্ত করে চুলা তৈরি করে বিটুমিন গলানো হচ্ছে এবং ডাবল হোপার ইঞ্জিন চালিত মিশ্রন মেশিন স্থাপন করে কার্পেটিংয়ের মিশ্রন তৈরি করা হচ্ছে। ফরে খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
আর বিটুমিনের গন্ধে ও মিশ্রন মেশিনের বিকট শব্দে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ বিঘিœত হওয়ার পাশাপাশি পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা যায়- পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- গত ২৪ নভেম্বর (গত শুক্রবার) কোনো অনুমতি ছাড়াই মাঠের মধ্যে সড়কের নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয় এবং মাঠেই নির্মাণের যাবতীয় কার্যক্রম করা হয়।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আকতার বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘কালো ধোয়া আর বিটুমিনের গন্ধে এবং মিশ্রন মেশিনের বিকট শব্দে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। পাঠদানেও ব্যাঘাত ঘটছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘কালো ধোয়া ও বিটুমিনের গন্ধে তাঁদের ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ক্ষতিসহ খেলাধুলা করতে পারছে না। তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।’
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে পল্লী উন্নয়ন যোগাযোগ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে নিমদী লঞ্চঘাট থেকে তালতলী খেয়াঘাটের দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। দরপত্রের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পান মেসার্স পল্লী ষ্টোর নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে জানার জন্য ঠিকাদার নাজমুল শাহাদতের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কাজের দায়িত্বে থাকা মো. জাকির হোসেন বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ওই সড়কের পাশে বিদ্যালয়টি।
এ কারণে বিদ্যালয়ের মাঠের কিছু অংশ ব্যবহার করা হচ্ছে।’ কোনো অনুমতি নিয়েছেন কী না? এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি ফোন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে মাঠ পরিস্কার করার প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শিরোনামপটুয়াখালি