পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিস সহায়ক হিসাবে মেরিনা ইয়াসমিন নামের এক মহিলাকে নিয়োগ দেয়া হলেও তার পরিবর্তে চাকরী করছেন স্বামী রুহুল আমিন মৃধা। তিনি শুধু মাসের বেতন স্বাক্ষর দিয়ে তুলে নেন। প্রায় তিন বছর ধরে এ অবস্থায় চলছে।
মেরিনা ইয়াসমিন সম্পর্কে উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের ভাতিজা বউ। সূর্যমনি ইউনিয়নের নুরাইনপুর গ্রামে তার বাড়ি।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়- বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র মজিবুর রহমানের অফিস সহায়ক হিসাবে ২০১৬ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি মাসিক ৮ হাজার ২শ’ ৫৩ টাকা বেতনে মেরিনা ইয়াসমিনকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু তাকে কোন দিনই অফিসে দেখা যায়নি। তার পরিবর্তে স্বামী রুহুল আমিন মৃধা চাকরী করছেন।
সরেজমিন বুধবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় গিয়ে মেরিনা ইয়াসমিনের পরিবর্তে তার স্বামী রুহুল আমিন মৃধাকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই অফিসের এক ব্যক্তি জানান, অফিস সহায়ক মেরিনা ইয়াসমিনের শ^শুর মাওলানা সেকান্দার আলী মৃধা হচ্ছে উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানে আপন মামাতো ভাই। তিনি প্রভাব দেখিয়ে ভাতিজা রুহুল আমিনের স্ত্রী মেরিনা ইয়াসমিনকে ওই পদে চাকরী দিয়েছেন।
কিন্তু তাকে কেউ অফিস করতে দেখেননি। এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিলেও কেউ ভয়ে মুখ খুলেননি।’
শিরোনামপটুয়াখালি