বাকেরগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা
জিয়াউল হক,বাকেরগঞ্জ,বরিশাল।। জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পরেছে। দোতলায় উঠতে সিঁড়ির উপর ছাদের বীমের পলেস্তারা খসে পড়ে লোহার রড ও রিং বেরিয়ে পড়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আশা রোগীরা জানান, প্রায় সময় ছাদের বীম থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে বিকট শব্দে হাসপাতালের মধ্যে হইচই শুরু হয়ে যায়। গভীর রাতে এই ঘটনায় রোগীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। দোতালায় নার্সিং রুমে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসরিন জানান, পূর্বে থেকেই বীমে ফাটল ছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। কিন্তু ভবনটি এখনো পরিত্যক্ত ঘোষণা করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ৩১ শয্যার ওই ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ভবনের নারী,পুরুষ ওয়ার্ডের ছাদের পলেস্তারা বিভিন্ন স্থানে খসে পড়েছে বীম গুলোতে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফাটল। ভবনটি কত সালে নির্মিত সঠিক তথ্য নেই মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কাছে।
এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ভবনটিতে থাকা অফিসকক্ষ, বহির্বিভাগ, ছাদের উপর নির্মিত পানির ট্যাংকি ও রোগীদের ওয়ার্ডে ফাটল সহ ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড দেখা যাচ্ছে।
দেয়ালে বড় বড় ফাটল। রেলিংও ভাঙা। উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। রোগীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে আসছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মোকর্তা ডক্টর শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন ১৪ টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা নিয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। রয়েছে জনবল সঙ্কট।যেখানে ওয়ার্ডবয় তিনজন থাকার কথা সেখানে রয়েছে একজন।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রা:) নেই। স্বাস্থ্য পরিদর্শক পাঁচজন থাকার কথা থাকলেও আছে একজন। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নেই, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ১৫ জন থাকার কথা আছে ৬ জন। স্বাস্থ্য সহকারি ৭৪ জন থাকার কথা থাকলেও আছে ৫৭ জন সেখানেও সংকট রয়েছে ১৭ জনের।
জুনিয়র মেকানিক্যাল, নাইট গার্ড, পরিচ্ছন্ন কর্মী সংকট রয়েছে। অনুমোদন থাকলেও জনবল নেই। তাই উপজেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নতুন একটি ভবন ও জনবল সংকট নিরসন জরুরী হয়ে পড়েছে।
বরিশালের খবর, বিভাগের খবর