বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু
সংবাদদাতা,বাকেরগঞ্জ, বরিশাল।। জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ইউসুফ আলী হাওলাদারের পুত্র সালাউদ্দিন হাওলাদার (২৫) বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বৈদ্যুতিক পিলার থেকে নিচে পরে মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৬ অক্টোবর সকাল ১১.৩০ বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ আওতাধীন নিয়ামতি ইউনিয়নের মহেশপুর বাজারে বৈদ্যুতিক পিলারে তারের সংযোগ দিতে গিয়ে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তান্ডবে নিয়ামতি ইউনিয়নের মহেশপুর বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ উপরে পরলে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে যায়
। পল্লী বিদ্যুৎ বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিস এর দায়িত্বে স্থানীয় অদক্ষ ৯ জন সাধারণ শ্রমিক মহেশপুর বাজারে আজ সকালে বন্যায় পড়ে যাওয়া গাছ অপসারণ ও ছিড়ে যাওয়া তার সংযোগ দেয়ার কাজ শুরু করে শ্রমিকরা।
ওই সময় সালাউদ্দিন নামের এক শ্রোমিক বিদ্যুৎ পিলারের উপরে উঠে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ দিতে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পিলার থেকে নিচে পড়ে যায়। আহত অবস্থায় সালাউদ্দিনকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর অদক্ষ শ্রমিক দাঁড়া পল্লী বিদ্যুতের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় কাজ করাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটছে। নিহত সালাউদ্দিন এর ভাই আলোমগীর জানান, আমার ভাই সালাউদ্দিন এর আগে কখনোই বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করেনি।
বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা সাধারণ শ্রমিক দিয়ে বৈদ্যুতিক পিলারের লাইনেরতার সংযোগ এর মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করাতে গিয়ে প্রতিবছর শ্রমিকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
আমার ভাই যখন পিলারে তারের সংযোগ দিতে উঠছে তখন ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও ছিলেন। শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর সময় কেনই বা বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করা ছিল না এমন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ডিজিএম গোবিন্দ চন্দ্র দাস জানান, শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় লাইনে বিদ্যুৎ সচল রাখায় এই দুর্ঘটনা। দায়িত্বে কে অবহেলা করেছেন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলাউদ্দিন মিলন জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত শ্রমিকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
বরিশালের খবর, বিভাগের খবর