বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আব্দুল হককে কুপিয়ে জখম করেছে আসামীরা। এই ঘটনায় তিন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহা. ফারুক হোসেন আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর বাকেরগঞ্জের কাঠিপাড়া এলাকার থেকে তাদের আটক করা হয়।
জেলহাজতে প্রেরণ আসামিরা হলেন- কাঠিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত খাদেম হাওলাদারের ছেলে আবুয়াল হাওলাদার, তার স্ত্রী কহিনুর বেগম এবং ছেলে আল-আমিন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার কাঠিপাড়া মৌজার বিরোধপূর্ন জমিতে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে গত ২৮ নভেম্বর বাকেরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন স্থানীয় বাসিন্দা দলিল উদ্দিন হাওলাদার। ওই দিনই সাধারণ ডায়েরির তদন্তের জন্য ওই বিরোধপূর্ন জমিতে যায় বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ।
ওই সময় তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি বাহিনী সেই জমির ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় পুলিশ তাদের ধান কাটতে বাধা দিয়ে আদালতের আদেশ শুনাতে চাইলে ওই বাহিনী পুলিশের কথায় কর্নপাত না করে তাদের হামলা চালায়।
হামলার একপর্যায় আসামি আবুয়ালের স্ত্রী কহিনুর বেগম তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এসআই মাহামুদুল হাসানের মাথা লক্ষ করে আঘাত করলে সেখানে উপস্থিত থানার ওসি তদন্ত মো. আব্দুল হক তার হাত পেতে এসআই মাহামুদুল হাসানকে বাঁচিয়ে দেন।
তবে ওই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওসি তদন্ত মো. আব্দুল হকের হাত কেটে জখম হয়। একই সাথে ঘটনাস্থলে যাওয়া থানার আরও পুলিশ সদস্যদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়।
তবে পালানোর সময় পুলিশের হাতে আটক হয় আবুয়াল হাওলাদার ও তার স্ত্রী এবং ছেলে।
এই ঘটনায় ওসি তদন্ত মো. আব্দুল হক বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।’
শিরোনামবরিশালের খবর