বাকেরগঞ্জ সড়কে ময়লার স্তুপ জনদুর্ভোগ চরমে, অপসারণ করছে না কেউ
জিয়াউল হক আকন, বাকেরগঞ্জ।। জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে একটি পৌরসভা। পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়কে ও আবাসিক এলাকায় পলিথিন বর্জ ও ময়লা-আবর্জনার স্তুপ বছরের পর পছর ধরে ফেলে রেখেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌর এলাকার বরিশাল কুয়াকাটা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড ব্রিজ সংলগ্ন খালে ও আগাবাকের লেনের প্রবেশ পথ সড়কের উপরে দীর্ঘদিন ধরে অপচনশীল পলিথিন বর্জ ও ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে বাস স্ট্যান্ড কাঁচা বাজার, মাছ বাজার ফুটপাত দখল করে বসা ফল ব্যাবসায়িরা ময়লা-আবর্জনা স্তুপে পাহাড় সমান হয়ে গেছে। এতে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই এলাকা পার হতে হয়।
আগাবাকের লেন পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের লোকজন ময়লা-আবর্জনার স্তুপের উপর দিয়েই হাটাচলা করেন। ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের গ্রামীন ব্যাংক সংলগ্ন আবাসিক এলাকা, পৌর কাঁচা বাজারের ড্রেনের উপর বিআইপি কলোনিতে পলিথিন বর্জ ময়লা – আবর্জনা স্তুপে ছেয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ,গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের উপর ও আবাসিক এলাকায় সড়ক দখল করে দিনের পর দিন পলিথিন বর্জ্য ময়লা আবর্জনা ফেলা হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা সরাতে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি।
পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লার স্তূপের সামনে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন এখানে ময়লা ফালানোর সম্পূর্ণ নিষেধ। তাহলে পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে ময়লা ফালাচ্ছে কে? বছরজুড়েই পৌর কর্তৃপক্ষ এখানে ময়লা ফেলে পাহার করেছে।
আর সেই ময়লার স্তুপ অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব কেন? এমন পরিস্থিতিতে পৌর বাসি অসাহায় হয়ে পরেছে। এই সব প্লাস্টিক, পলিথিনসহ অপচনশীল বর্জ্য পদার্থ পানিকে দূষিত করাসহ জমির উর্বরতা শক্তি কমিয়ে দিচ্ছে।
একইসঙ্গে ঘটছে পৌর শহরের পরিবেশের বিপর্যয় দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। আর এসব ময়লা-আবর্জনায় পৌর এলাকায় মশার বংশ বিস্তার করছে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ মশাবাহিত রোগ।
১৯৯০ সালে পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি ক শ্রেণীর পৌরসভা হলেও চিত্র যেন ভিন্ন। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৩২ বছর পার হলেও নেই নির্দিষ্ট কোন ময়লা ফেলানোর স্থান। সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর বা স্থানিয় প্রশাসন উপজেলার পরিবেশ রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সুশীল সমাজের দাবি, একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। সড়ক সহ পৌর আবাসিক এলাকায় ময়লা না ফেলানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পৌরবাসী বিভিন্ন রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হবে।
অপরদিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বারবার তাগিদ দিলেও কার্যকারী কোন ভূমিকা নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ জানান, আগাবাকের লেনের প্রবেশ পথ সড়কের উপর বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে ময়লা ফালাতো।
এলাকাবাসির অভিযোগ পেয়ে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়ার হস্তক্ষেপে ময়লা ফেলা বন্ধ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় ময়লা আবর্জনার স্তুপ অপসারণ করা কিছুটা জটিলতা হয়ে পড়েছে।
বরিশালের খবর, বিভাগের খবর