বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় বিয়ের চার মাস যেতে না যেতেই স্বামীর হাতে খুন হয়েছে ডনি আক্তার মিম (১৮)। ভাবির সঙ্গে স্বামীর গোপন সম্পর্ক দেখে ফেলায় জীবন দিতে হল মিমকে।
শনিবার বিকালে মোল্লাহাটের চাঁদেরহাট গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রোববার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় জামাতা সাহাদাত সেখসহ তিনজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি।
নববধূ ডনি আক্তার মিম খুলনা জেলার কয়রা থানার আনিসুর রহমানের মেয়ে।
নিহত ডনির মা মর্জিনা বেগম জানান, গত চার মাস আগে মোল্লাহাটের চাঁদেরহাট গ্রামের ধলু সেখের ছেলে সাহাদাত সেখের সঙ্গে ডনি আক্তার মিমের বিয়ে হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই সাহাদাতের বড়ভাইয়ের স্ত্রী কামনা বেগমের সঙ্গে ডনির পারিবারিক তিক্ততা সৃষ্টি হয়। ডনি তার মাসহ আত্মীয়দের কাছে সাহাদাতের সঙ্গে তার ভাবির পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ করে।
শনিবার দুপুরের দিকে ডনি আক্তার মিম বাইরে থেকে ওই বাড়িতে এসে তার স্বামীকে ওই ভাবির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করে। একপর্যায়ে সাহাদাত ও তার পরিবারের সদস্যরা শ্বাসরোধ করে মিমকে হত্যা করে।
প্রথমে সাহাদাত সেখ প্রতিবেশীদের কাছে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়। এ ঘটনার পর থেকে সাহাদাত সেখসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা গাঢাকা দিয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ওসি কাজী গোলাম কবির বলেন, গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা আসামিদের গ্রেফতার করার পর জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সাহাদাত সেখ, তার ভাবি কামনা বেগম ও সাহাদাতের ভগ্নীপতি লিটুকে আসামি করে হত্যা মামালা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের আটক করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল জানান, নববধূর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে। তবে তাকে পারিবারিক কলহের কারণে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। মামলার আসামিদের আটক করা গেলে প্রকৃত হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।
দেশের খবর