বানারীপাড়ায় তরুণী খুনের ঘটনায় স্বামীসহ এ পর্যন্ত ৭জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে লাশ উদ্ধারের পরে তাদের উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটকদের পুলিশী হেফাজতে রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে বলে এমন খবর দিয়েছে ভেতরকার একটি সূত্র।
এদিকে- অজ্ঞাত ওই তরুণীর পরিচয়ও নিশ্চিত হয় পুলিশ। পুলিশ জানায়- নিহত ওই তরুণীর নাম দিলরুবা আক্তার (২২)। নিহত দিলরুবা বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন গ্রামের মোশারেফ খানের মেয়ে।
নবম শ্রেণিতে পড়–য়া দিলরুবার গত ২ মাস আগে বানারীপাড়া উপজেলার বেতাল গ্রামের চা দোকানী শামীমের সাথে তাঁর বিয়ে হয়।
এই ঘটনায় আটকরা হলেন- দিলরুবার স্বামী শামীম হাওলাদার, শ^শুর আলম হাওলাদার, শ^াশুড়ি মনোয়ারা বেগম, বড় বোন শিল্পী, মেঝ ভগ্নিপতি আলামিন, দেবর সুমন, দিলরুবার স্বামীর বন্ধু মনিরসহ ৭ জন।’
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন- উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামে স্থানীয় ‘সূর্যমনি’ মেলায় শুক্রবার রাতে তার মেঝ বোনের সাথে বেড়াতে যায়। ওই রাতে মেলা মাঠ থেকে নিরুদ্দেশ হয় দিলরুবা। পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন বাগান থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার হয়।’
পুলিশ ওই রাতে প্রাথমিক ধারণা করেছিল- তরুণী ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে। অবশ্য সেই সময় পুলিশ তরুণীর পরিচয়ও নিশ্চিত হতে পারছিলো না।
তবে পরবর্তীতে খোঁজ-খবর নিয়ে নাম পরিচয় নিশ্চিত হয়।
এ বিষয়ে দিলরুবার বোন শিল্পির ভাষ্য হচ্ছে- তাদের শুক্রবার সন্ধ্যার বাড়ি থেকে বের হয়ে দিলরুবা তার ভগ্নিপতি আল আমিনের মোবাইল ফোন থেকে স্বামী শামিমকে ফোন দেয়। কিন্তু শামীম বাইরে আছে বলে স্ত্রী দিলরুবাকে জানান।
এক পর্যায় দিলরুবা বোন এবং ভগ্নিপতিকে বলে আমি শামিমর কাছে যাই।
বানারীপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক খান জানিয়েছেন- তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে- এটা নিশ্চিত। শনিবার দুপুরে মর্গে ময়না তদন্ত শেষে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার (এসসি) এসএম আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন- পরিবারিক বিরোধ, প্রেম কিংবা অন্য কোন বিষয় নিয়ে দিলরুবাকে হত্যা করা হতে পারে। পুলিশ সবগুলো বিষয় সামনে রেখে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তদন্তে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’’
শিরোনামখবর বিজ্ঞপ্তি, টাইমস স্পেশাল, বরিশালের খবর