বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬
বরিশাল: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার দাসেরহাট মসজিদ বাড়ী এলাকায় লঞ্চ ডুবিতে নিহত ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
এরইমধ্যে এসব মৃতদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তবে নিখোঁজদের তালিকায় আরও প্রায় ১৫ জনের নাম থাকায় উদ্ধার অভিযান চলবে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে লঞ্চটিকে তোলা হবে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ১৩ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বানারীপাড়া থানার এসআই জসীম উদ্দিন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আর একজন স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।
‘নিহতের মধ্যে আটজন পুরুষ, চারজন নারী। একজন শিশুও রয়েছে।’
নিহতরা হলেন- দাসেরহাটের মসজিদ বাড়ী এলাকার আ. মজিদের স্ত্রী রহিমা বেগম (৬০), বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠীর আবুল ঘরামীর ছেলে মিলন ঘরামী (৪৫), সাতবাড়িয়া এলাকার আলম মীরের ছেলে সাগর মীর(২০), মজিবর রহমানের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৪০), আ. মজিদ হাওলাদারের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫৫), মসজিদ বাড়ি এলাকার মৃত ইসমাইল মোল্লার ছেলে মুজাম্মেল মোল্লা (৬০), মৃত চান্দু মিঞার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৪৫), জিরাকাঠীর আ. রহিমের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৩০) এবং উজিরপুরের সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে জয়নাল হাওলাদার (৫৫), সিদ্দিকুর রহমান মোল্লার শিশু মেয়ে শান্তা (১১), মনিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সুখদেব মল্লিক (৩৫), কেশবকাঠী এলাকার মৃত ওয়াজেদ হাওলাদারের ছেলে ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আ. রাজ্জাক (৭৫) এবং পিরোজপুরের স্বরুপকাঠীর কামাল হোসেনের স্ত্রী হিরা বেগম (২৫)।
ঘটনাস্থলে পুলিশের খোলা কন্ট্রোলরুম সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন- নিহত মিলন ঘরামীর স্ত্রী খুকুমনি (২৫) ও তাদের সন্তান সাফওয়ান (০৩), রেহানা বেগমের ছেলে রিয়াদ হাওলাদার (৫), ফিরোজা বেগমের স্বামী আ. মজিদ হাওলাদার (৪৫)।
উজিরপুরের খলিল হাওলাদারের স্ত্রী হামিদা বেগম (৪০) ও তার ছেলে নাফফি (৯), মনিশংকরের স্ত্রী কল্পনা রানী (২৫), উজিরপুরের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রাফি (৭) এবং বানারীপাড়ার আলমগীর হোসেনের শিশু মেয়ে মারিয়া বেগম (৩), মালেক সরদারের ছেলে রুহুল আমিন (৩০), মনোয়ার বেগম (৪৫), মুজা মোল্লা (৬২), দিদার (০৭)।