৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বানারীপাড়া ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারের ১০ বছরেও খোঁজ মেলেনি!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৫৯ অপরাহ্ণ, ০৯ মার্চ ২০১৭

নিখোঁজ বানারীপাড়ার চাখার সরকারী ফজলুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগ আহবায়ক আনোয়ার হোসেনের সন্ধান  গত ১০ বছরেও মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে জনপ্রিয় এ ছাত্র নেতা গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন।ওই সময় দেশের যে প্রান্তেই অজ্ঞাত পরিচয় লাশ পাওয়ার খবর পেয়েছেন তার লাশ ভেবে সেখানেই তার পরিবার ছুঁটে গেছেন । কিন্তু কোথাও আনোয়ারকে খুজেঁ পাওয়া যায়নি।

তার বৃদ্ধ মা জমিলা খাতুন বাড়ির সামনের রাস্তায় বসে বিলাপ করে নাড়ী ছেড়া ধন ছেলে ফিরে আসবে এ প্রত্যাশায় তার আগমনী পথের দিকে অশ্র“সজল নয়নে তাকিয়ে থাকতেন । খোকার আগমনী পথের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মায়ের চোখে ক্লান্তি আসতো তবু  প্রিয় খোকা আর ফিরে আসেনি! কিছুদিন পূর্বে একবুক কষ্ট নিয়ে আনোয়ারের মা মৃত্যুবরণ করেছেন।

২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়ি থেকে বানারীপাড়া বাজারে আসার পথে ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হন। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপির চাপে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করলেও এলাকাবাসীর আন্দোলনের মুখে পড়ে মামলা নিতে বাধ্য হয়।

৭ অক্টোবর তার ভাই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন বিএনপির তৎকালীন সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন তার ভাই ঢাকার টপ টেরর মাইনুদ্দিন ও হুমায়ুন, সোহেল, জাকির হোসেন, আনোয়ার মৃধা, নজরুল ও জসিমকে আসামী করে  আনোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয় ওই দিন বিকেলে বানারীপাড়া বাজারে আসার পথে মহিষাপোতা এলাকায় আসামী সোহেলের বাড়ির সামনে থেকে আসামীরা তাকে  মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করে।

২০০৬ সালের ১৮ আগষ্ট ঢাকায় র‌্যাবের হাতে ফেন্সিডিল সহ মাইনউদ্দিন ওরফে রাজু গ্রেফতার হয় । ওই গ্রেফতারের পিছনে ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারের হাত রয়েছে এ ধারনা থেকে ক্ষীপ্ত হয়ে মাইনউদ্দিনের নেতৃত্বে আসামীরা তাকে অপহরন ও গুম করেছে বলে বাদীর পরিবারের অভিযোগ।

মামলা দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীরা  ওই বছরের ২৪ নভেম্বর বাদীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে । এ ব্যাপারে আসামীদের বিরুদ্ধে তখন আরও একটি মামলা দায়ের করা হয় ।  বিএনপি নেতা  হেমায়েত উদ্দিন ও মাইনউদ্দিন তখন কয়েক মাস হাজতবাস করলেও আসামীরা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন ।

আসামীদের মধ্যে সোহেল প্রবাসে ও জাকির হোসেন খন্দকার ২০১২ সালে মৃত্যুবরনণ করেন।  অপহরন ও গুম মামলাটি বর্তমানে জজ কোর্টে স্বাক্ষী পর্যায়ে রয়েছে। বাদীর অভিযোগ আসামীরা সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।

আনোয়ারের পরিবার  এ ব্যাপারে আসামীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।’’

70 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন