বাবুগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী ইমদাদুল হক দুলালের বড়বোন কাজী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে একটি কুচক্রী মহল। এমনকি ওই মহলের ইন্ধনে উপজেলা সমাজ সেবা দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজনের নেপথ্য ষড়যন্ত্রের বলি হচ্ছেন ওই নিরীহ সমাজ কর্মী। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাধবপাশা ইউনিয়নের হিজলা গ্রামের পরাজিত ইউপি সদস্য সাফিয়া বেগম বিগত চেয়ারম্যানের আমলে তার মানসিক প্রতিবন্ধী ভাই এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাগ্নির নামে ২টি প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করান। গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বর্তমান ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপির কাছে হেরে যান তিনি। এদিকে লিপি নির্বাচিত হয়ে প্রতিহিংসার বশে সাফিয়া বেগমের স্বজনদের নামে পাওয়া ওই ভাতাকার্ড বাতিলের দাবিতে নানা তৎপরতা শুরু করেন।
সম্প্রতি তিনি একই পরিবারে ২টি প্রতিবন্ধী কার্ড প্রদানের অভিযোগসহ মাধবপাশা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন কার্ডধারী মানুষের মৃত্যুর অভিযোগ করলে বুধবার সমাজ সেবা দপ্তর থেকে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান। এসময় ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপির সহযোগী আক্কেল জমাদ্দার ও আলমগীর তদন্ত দলের সামনেই সাফিয়া বেগমকে গালাগাল ও অশোভন আচরণ শুরু করলে সেখানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় তীব্র তর্কযুদ্ধ দেখে সাফিয়ার মানসিক ভারসাম্যহীন ভাই সালাম উত্তেজিত হয়ে সবাইকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে তদন্তকারী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহামুল হাসিব ও সমাজ কর্মী কাজী লায়লা পারভীনসহ তদন্ত দলের সবাই আত্মরক্ষার্থে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে অভিযোগকারী ফাতেমা আক্তার লিপি এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাফিয়া বেগমের সাথে তার বাড়িতে বসেই হাতাহাতি ও সংঘর্ষে লিপ্ত হন বলে জানান স্থানীয়রা। লিপির ভাড়াটে সহযোগীদের হামলায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও উল্টো তিনি এজন্য উপজেলা সমাজ সেবা দপ্তরের লোকজনকে দায়ি করে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার শুরু করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী ইমদাদুল হক দুলালের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উস্কানিতে ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপি উল্টো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান সমাজ কর্মী কাজী লায়লা পারভীন।
এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহামুল হাসিব জানান, একই ব্যক্তি যদি একাধিক ভাতা গ্রহন কিংবা মৃত ব্যক্তির নামে ভাতা উত্তোলন করে থাকেন সেটা তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সেজন্য পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তদন্তকালীন সময়ে বহিরাগত লোকজন নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে হামলার ঘটনা দুঃখজনক।
মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন হাওলাদার জানান, ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপির অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক। সমাজ কর্মী কাজী লায়লা পারভীন বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় সভাপতি কাজী ইমদাদুল হক দুলালের বড়বোন হওয়ার কারণে তাকে রাজনৈতিকভাবে কিছুটা হেয় প্রতিপন্ন করতেই একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে এসব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন লিপি বলে জানান মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান।”
বরিশালের খবর