বরিশাল: বাবুগঞ্জ থানার এএসআই রাসেলের বিরুদ্ধে এক কিশোরকে রাতের আধারে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মাদক বিক্রির ভুয়া অভিযোগে বেধড়ক পিটিয়ে আহত ও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে সাড়ে ১০টায় বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে।
আহত কিশোর মো. শাহিন হাওলাদার ওই এলাকার মো. হোসেন হাওলাদারের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাবুগঞ্জ থানার এএসআই রাসেল তার সোর্স একই গ্রামের সাইফুল ইসলামকে নিয়ে কেদারপুর এলাকায় যায়।
সোর্স সাইফুল ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আলীকে দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা শাহিনকে ডেকে মাদক বিক্রির ভুয়া অভিযোগ তুলে নিজ বাড়ীর মধ্যেই মারধর শুরু করে এএসআই রাসেল।
শাহিনের মা শেফালী বেগম জানান, তিনি ঘটনাটি টের পেয়ে ডাক-চিৎকার করলে এলাকার লোকজন শাহিনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই পুলিশ কর্তা শাহিনকে ইয়াবা বিক্রেতার ভুয়া অভিযোগ তোলে।
পরে উপস্থিত সকলের সামনেই আমাদের কাছে ওই এএসআই ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। এ সময় অসহায় শেফালী বেগম কোন উপায় না পেয়ে ঘরে থাকা পাট ও গরু বিক্রির ৬০ হাজার টাকা থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেয়। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি।
তাদের ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক বাকি ৩৫ হাজার টাকাও লুট করে নেয় এএসআই রাসেল এবং শাহিনকে পুনরায় মারধর করে খেয়াঘাট এলাকায় ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ২ টার দিকে উপজেলার বাহেরচর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখেন।’
এ খবর পেয়ে এএস আই রাসেল হাসপাতালে পুলিশি প্রভাব দেখিয়ে আহত শাহিনের নাম কাটিয়ে দেয়। সেই থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত শাহিন চিকিৎসা অভাবে ঘরে কাতরাচ্ছেন। তাকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আলী।’
এদিকে এই পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করে বাবুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, এ রকম কোন ঘটনা আমার জানা নেই, বিষয়টি খতিয়ে করে দেখা হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, এএসআই রাসেল এ ধরনের কাজ এর আগেও করেছে,তার শাস্তি হওয়া উচিৎ। অভিযুক্ত এএসআই রাসেল’র কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে সংযোগটি কেটে দেন।’
বরিশালের খবর