১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

বালিয়াতলীর ফেরিটি ৪ বছর ধরে চলাচল বন্ধ, লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৮ অপরাহ্ণ, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা বিকল্প সড়কের বালিয়াতলীর ফেরি পারাপার চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফেরিটি দীর্ঘদিন ধরে আন্ধারমানিক নদীতে পড়ে থাকায় লবন পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিকল্প পথে কুয়াকাটায় পর্যটকের গাড়ি নিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

দীর্ঘদিন ফেরিটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত এ ফেরিটি চালু হওয়ার কোন উদ্যোগ নেই বলে জানা গেছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- এলজিইডির পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-২৫ এর আওতায় দেশীয় কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি মেকানাইজড ফেরীটি ২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আন্ধারমানিক নদীর বালিয়াতলী পয়েন্টে এ ফেরীটি স্থাপন করা হয়।

ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব উপজেলা পরিষদ হওয়ায় বাংলা ১৪১৬ সালের জন্য ২৬ হাজার টাকায় ইজারা প্রদান করে। ফেরীটি চালু হওয়ার পরে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে বিকল্প এ সড়কে গাড়ি নিয়ে কুয়াকাটা ছাড়াও গঙ্গামতি কাউয়ারচরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট দেখার সুযোগ পায়। এপথে চলাচলকারী বালিয়াতলী, ধুলাসার, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়।

কিন্তু কিছুদিন যেতেই ফেরীটির ইঞ্জিন, গ্যাংওয়ে, পন্টুন বিকল হতে থাকে। ইঞ্জিনের একটি পাখা ভেঙে তিন বছর পারাপার বন্ধ থাকে। এরপর কয়েকদিনের জন্য চালু হয়ে ফের বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর ফেরিটি পুর্নাঙ্গভাবে চালু হয়নি।

স্থানীয়রা জানায়- প্রায় পাঁচটি বছর ফেরীটি চরে কাদার উপরে পড়ে আছে। ফলে অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাশ^বর্তী চারটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, এ ফেরীটি সচল থাকায় প্রতিদিন বহু গাড়ি পারাপার হতো।

উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার বরিশালটাইমসকে জানান- এটি চালাতে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি। তাই আপাতত ফেরিটি চালুর পরিকল্পনা নেই। বিষয়টি এলজিইডির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

63 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন