বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৫:০৬ অপরাহ্ণ, ০৭ অক্টোবর ২০১৬
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাহারি আলোকমালায় ঝলমল করছে বরিশাল নগরী। তিন মাস ধরে চলা আয়োজনে সেজে ওঠা আলোকসজ্জা এখন বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে পূজাম-পগুলোর।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চমীর দিন সন্ধ্যা পেরোনোর পরপর ম-প ও এর আশপাশের এলাকার আলোকসজ্জা জ্বলে ওঠে নগরীজুড়ে। দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা দেখতে পুজোর আগেই ভিড় করে বিপুলসংখ্যক বিনোদনপিয়াসী মানুষ।
বরিশালের পূজাম-পগুলোতে যারা আলোকসজ্জার কাজ করেছেন, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে এবার আলোকসজ্জা করা হয়েছে। নতুন নতুন আলোকসজ্জার সামগ্রী যোগ করা হয়েছে বরিশালের পূজাম-পগুলোতে।
বরিশাল শ্রীশ্রী শংকর মঠে আলোকসজ্জায় নিয়োজিত খোকন মুহুরি জানান, পূজা শুরুর তিন মাস আগে ভারত থেকে মালামাল এনে কাজ শুরু হয় এবার। তবে মূল ম-পে কাজ ধরা হয় এক মাস আগে। পাশাপাশি তোরণগুলোতেও আনা হয়েছে ভিন্নতা।
এবারের দুর্গাপূজায় শুধু ম-প নয়, সংলগ্ন এলাকগুলোও সাজিয়ে তোলা হয়েছে আলোকমালার বাহারি সাজে। খোকন মুহুরি জানান, এবারের পূজায় নতুন সামগ্রী যেমন আনা হয়েছে, তেমনি পূজা কমিটিগুলো বাজেটও বাড়িয়েছে।
নগরীর রামকৃষ্ণ মন্দিরে আলোকসজ্জায় নিয়োজিত নন্দ কু- বলেন, ‘প্রতিবার সচরাচর লাইট দিয়ে কাজ করা হলেও এবার ভিন্নতা রয়েছে কাজে। আশা করি, দর্শনার্থীদের বিনোদন দিতে পারবে আমাদের এবারের আলোকসজ্জা।’
অন্যবার শংকর মঠের আলোকসজ্জা বরিশালের ম-পগুলোর শ্রেষ্ঠ তালিকায় শীর্ষ থাকলেও এবারের আলোকসজ্জায় ভিন্নতা এসেছে নগরীর কালীবাড়ি রোডের পাষাণময়ী কালীমাতা মন্দিরের পূজাম-পে। তাই সেখানেও ভিড় করছে দর্শনার্থীরা।
পাষাণময়ী কালীমাতার মন্দির পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্লাবন সাহা জানান, ‘পূজা শুরু না হলেও আলোকসজ্জার ‘ভেল্কি’ দেখতে পঞ্চমী থেকেই ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। এবারের আলোকসজ্জা নিয়ে আমরাও উচ্ছ্বসিত।’
এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দে নারু বলেন, প্রতিবারই জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ আসে বরিশাল নগরীর পূজা উপভোগ করতে। তবে তাদের আসার মূল আকর্ষণ হলো ম-পগুলোর আলোকসজ্জা। আশা করি এবারও তারা আনন্দ পাবে ম-পগুলোতে।’
এদিকে শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে বেশির ভাগ মন্দিরে (রামকৃষ্ণ মিশন বাদে) ।
সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখতে আজ সকালে বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সায়েদুর রহমান, উপকমিশনার গোলাম রউফ, মুখপাত্র সহকারী কমিশনার ফরহাদ সরদার, সহকারী কমিশনার আজাদ রহমান প্রমুখ।