বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ অপরাহ্ণ, ২০ মার্চ ২০১৬
বরিশাল: দলীয় প্রতীক পেয়ে প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা প্রচার প্রচারনায় জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকলেও দলের কতিপয় নেতা শেষসময়ে নৌকা ডোবাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে দলের সুবিধাভোগী ও পদ পদবি দখল করা ওইসব নেতারা বিএনপির প্রার্থীকে নিয়ে একাধিক গোপন বৈঠক করেছেন। এছাড়াও নৌকা ডোবাতে নিজ দলের সুবিধাভোগী নেতারা অতিগোপনে কমিটি গঠন করেছেন। রবিবার সকালে এ তথ্য চাউর হওয়ায় সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আ’লীগের হাইকমান্ড থেকে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নিজ নিজ এলাকার নেতাদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হলেও নির্বাচনী গণসংযোগ কিংবা প্রচারনায় শেষ সময়ে দেখা মিলছে না ওই ইউনিয়নের আ’লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ অন্যান্য পদ পদবীধারী নেতাদের।
সূত্রে আরও জানা গেছে, দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করতে গত কয়েকদিন থেকে রাতের আধাঁরে বিএনপি দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে ইউনিয়নের মাহিলাড়া, বেজহার, শরিফাবাদ গ্রামে একাধিক গোপন বৈঠক করেছেন ইউনিয়ন আ’লীগের কতিপয় নেতা। এজন্য ইউনিয়ন আ’লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আহবায়ক করে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন কবিরাজ, সহসভাপতি জালাল উদ্দিন সরদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সিকদার গং।
রবিবার সকালে বিষয়টি পুরো ইউনিয়নে চাউর হওয়ায় নৌকা সমর্থক তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রমতে, জেলার দু’বারের শ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈকত গুহ পিকলুকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। এঘটনার পর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন ইউনিয়ন আ’লীগের সহসভাপতি জালাল উদ্দিন সরদার।
বিষয়টি জেলা আ’লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র নজরে আসলে তার নির্দেশে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দদের মধ্যস্থতায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন জালাল। পরবর্তীতে অতিগোপনে দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করতে বিএনপির প্রার্থীর সাথে গোপন বৈঠক করেন জালাল ও তার সহযোগী উল্লেখিত সুবিধাভোগী নেতৃবৃন্দরা।