বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতের যাওয়ার পথে কাকড়াইল মোড়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে গাড়িবহরকে ঘিরে রাখা বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকজন বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়ি আদালতে উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তায় পৌঁছলে সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীরা গাড়িবহরের সঙ্গে যোগ দেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বেলা পৌঁনে ১টা ১০ মিনিট গাড়িবহর কাকড়াইল মোড়ে পৌঁছলে সেখানে সেই সংঘর্ষ বাঁধে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িবহর যখন উইলস্ লিটল স্কুলের সামনে পৌঁছলে পুলি শর্টগানের গুলি এবং টিয়ারশেল ছোঁড়ার পর সংঘর্ষ বাধে। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে পৌঁছলে বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি মোটরসাইকেল আগুন দেয়। এর কাকড়াইল মসজিদের সামনে গিয়ে আবারো তারা খালেদা জিয়ার গাড়ি ঘিরে রাখে।
এর আগে গুলশান থেকে পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আদালত যাওয়ার পথে পুরো রুটের রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করে, রাস্তা ফাঁকা করে দেয়া হয়। তাকে বহনকারী গাড়ির পেছনে র্যাব এপিবিএন এবং পুলিশের আলাদা টিম রয়েছে। এবং একটি অ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়েছে।
রায়কে কেন্দ্রকরে আদালত প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। এ মামলার আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বকশীবাজার মোড়ে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে আদালতে আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান আগেই সেখানে পৌঁছেছেন। এছাড়াও, খালেদা জিয়া এবং দুদকের আইনজীবীরাও সেখানে পৌঁছেছেন।
গত ২৫ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন।
এই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। মামলায় শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
জাতীয় খবর