বরিশাল: বরিশালে নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, বাংলাদেশকে ধ্বংসের জন্য পাকিস্তান সরকার অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ঐক্যের কারণে তা বৃথা এবং নস্যাৎ হয়েছে। দেশকে ধ্বংসের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গ নিয়েছে জামায়াত এবং তাদের ফুল সাপোর্ট করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সণ খালেদা জিয়া।
শনিবার রাত ৮টায় বরিশাল সার্কিট হাউসে ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও উগ্র ধর্মান্ধতা প্রতিরোধে আমরা ঐক্যবদ্ধ’ শ্লোগানে মুক্তিযদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ বরিশাল জেলা ও মহানগরের আয়োজনে মতবিনিময় সভা ও সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, মুজাহিদ এবং সাকা চৌধুরীর ফাঁসির আগে পাকিস্তান থেকে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছিলেন ইমরান। তিনি বার বার তাদের ফাঁসি না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ করেন। কিন্তু তার সব অনুরোধই বৃথা হয়েছে। আপনাদের অবশ্যই ৭১’ এর খলনায়ক নিয়াজীর কথা মনে আছে। সেই নিয়াজীর আপন ভাতিজা ইমরান নিয়াজী। তাই তার এত দরদ। নিজামীর ফাঁসির পরে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ তাকে একটি উপাধীতেও ভূষিত করেছিল। তাহলে আপনারাই বুঝুন তাদের মনমানসিকতা কত নিন্মমানের। কারো সুপারিশেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেমে থাকবেনা। আমরা ২১১ জন যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করেছি। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও রয়েছে। আর তাদের বিচার কাজও শীঘ্রই শুরু করা হবে।
দেশের মানুষ জানে সকল অশুভ শক্তি একসাথে হয়েছে শেখ হাসিনাকের হত্যা করতে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে স্বাধীন চেতনা নষ্ট হয়ে যাবে। আর এ সুযোগেই রয়েছে তারা।
বিএনপি সরকার সংখ্যালঘুদের বিদ্বেষ করে। এ বিষয় নতুন নয়। জিয়াউর রহমান জাতীয় সঙ্গীত কটুক্তি করে বলেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে হিন্দুর লেখা জাতীয় সঙ্গীত বদলানো হবে। এমন মন মানসিকতার মানুষের মধ্যে সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে কোন দরদই আশা করা যায় না।
শাজাহান খান বলেন, ২০১৩ সালে যখন হেফাজত ইসলাম শাপলা চত্বরে অবস্থান করেছিল। তার পরেরদিন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, প্রশাসনের লোকজন নাকি ২ হাজার মানুষ হত্যা করেছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় তিনি দুইজনের নামও বলতে পারেননি। এরকম ভাবে মিথ্যাচার করে দল পরিচালনা করছেন এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।
তিনি আরও বলেন, মাদারীপুরে যে সময় শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছিল জঙ্গী ফাহিম, সেসময় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ফাহিম। এঘটনার পর ফাহিমকে হত্যার কারণে উদ্বেগ জানান খালেদা জিয়া। এতে তার সাথে জঙ্গীদের সখ্যতার বিষয়টিও প্রমানিত হয়।
কোন ষড়যন্ত্র যখন তাদের কাজে লাগেনি তখন তারা ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার নাসরিনগরে রসরাজ নামের একটি ফেসবুক আইডি দিয়ে কাবা শরীফের উপর শিবের মূর্তি এডিট করে ছড়িয়ে দেয়। জানতে পেরেছি ফেসবুকে ওই ছবিটি ছড়ানোর কাজ বিএনপিই করেছে। এরপরের ঘটনা তো জানেনই। হিন্দু পরিবারগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। যা বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রয়াস।
আমাদের এখন একটি টার্গেট, সেটা হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করে বাংলাদেশকে পাপমুক্ত করা।
মুক্তিযদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি কে এস মহিউদ্দিন মানিকের সভাপতিত্বে এসময় জেলা ও মহানগরের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর