বরিশাল: বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল (মুসলিম হল) শিবিরের আখড়ায় পরিনত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রায়ই সেখানে শিবিরের গোপন মিটিং হয় বলে জানা গেছে। বিএম কলেজের বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন ধরনের কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা প্রায়ই আলোচনায় মিলিত হচ্ছেন।
যা হলের আবাসিক একাধিক ছাত্র অবগত থাকলেও প্রাণের মায়ায় তারাও মুখ খুলছেন না।
সূত্রটি জানিয়েছেন, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের কোন নেতা বা পূর্বের হুমকিপ্রাপ্ত কোন ব্লগার অথবা কবিকে হত্যায় এভাবে একাধিক গোপন আলোচনা সভায় মিলিত হচ্ছেন তারা। তবে সূত্রটি আলোচনায় মিলিত হওয়া কারো নাম জানাতে পারেনি।’
সূত্রটি জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ যাবত কলেজের মুসলিম হলে অপরচিতি ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল সন্ধ্যার পর প্রায়শই প্রবেশ করে এবং মাঝে মধ্যে দোতলায় আবার কখনো নিচ তলায় বসে একটি কক্ষে ঘন্টাব্যাপী রুদ্ধদার বৈঠকে মিলিত হয়।’
পরে সবাই আলাদা আলাদা অংশে ভাগ হয়ে রাতে বের হয়ে যায়। যাতে কারো সন্দেহ না হয়। বিষয়টি হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাও অবগত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সূত্রটি। সেই সূত্র ধরে মুসলিম হলের এক ছাত্রলীগ নেতারা কাছে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রথমে স্বীকার এবং পরে না জানার ভান ধরে চলে যান।’
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে- হলের রুম্মান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর বেশ কয়েকজন শিবির কর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকায় কেউ বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে যায়না। তবে বিষয়টি স্বীকার করে কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা এবং হলের এক আবাসিক ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ছাত্র শিবিরের কর্মীরা বর্তমানে ছাত্রলীগ নেতাদের শেল্টারে তাদের কার্যক্রম বহাল রাখছে।’
সে অনুযায়ী নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা হলের রুমে আলোচনার মাধ্যমে হয়ে থাকলেও তা কারো জানার কথা নয়। শুধু রুম্মান নামের ওই নতুন ছাত্রলীগ কর্মীই নয়, তার সাথে মেহেদী হাসান নামক আরেক ছাত্রলীগ কর্মীকে ঢাল হিসেবে শিবির কর্মীরা ব্যবহার করছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, এ দুই ছাত্রলীগ নামধারী কর্মীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ছাত্র শিবিরের কর্মীরা।’
তাদের সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মকান্ডও অব্যাহত রাখছেন তারা। হলের ১০১, ১০৫, ১০৮ এবং ২০৪ নম্বর রুমে শিবির নেতাদের অস্ত্রও থাকে বলে জানিয়েছে হলের একাধিক সূত্র। তবে কোন আগ্নেয়াস্ত্র আছে কিনা তা সম্পর্কে ওই সূত্র গুলো বলতে না পারলেও দেশীয় অস্ত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।’
কিন্তু এসব রুম গুলোতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র থাকার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করেছে প্রতিবেদকের বিশ্বস্ত সূত্র। এ নিয়েই শিবিরের সদস্যরা শীঘ্রই বড় ধরনের কোন অঘটন ঘটানোর চাল চালছেন তারা। এজন্যই প্রায়ই তাদের হঠাৎ করে বিভিন্ন আলোচনা সভায় মিলিত হচ্ছেন তারা। আর জায়গা হিসেবে কলেজের ছাত্রাবাস বেছে নেওয়ায় সন্দেহর মাত্রা কমে যাবে বলে তাদের ধারনা।’
তবে তাদের পরবর্তী টার্গেট পূর্বে হুমকি প্রাপ্ত ব্লগার, সংগঠক বা কবি বলে জানিয়েছে হলের বিশ্বস্ত সূত্রটি। তাই প্রশাসনের কঠোর নজরদারী এবং নতুন ছাত্রলীগ নেতাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের দাবী জানিয়েছে হলের আবাসিক ছাত্ররা। তা নাহলে তারাই বড় সমস্যায় ভুগবেন বলে মনে করছেন তারা। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যখ্ষ স.ম ইমানুল হাকিমের সাথে কথা বলতে চাইলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।’
বরিশালের খবর