বরগুনার পাথরঘাটা বিশখালী নদীর তীর থেকে কুমিরে দু’টি মহিষ শিকার করায় পাথরঘাটা উপকূলের জেলেদের মধ্যে কুমির আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক ক্ষুদ্র ট্রলারের জেলেরা নদী থেকে জাল তুলে কিনারে ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের ২৯ নম্বর দক্ষিণ কাকচিড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বিশখালী নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শতাধিক মানুষ বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছে। মহিষ দু’টির মালিক ওই এলাকার আশ্রাব আলী খান।
প্রত্যক্ষদর্শী মহিষের রাখাল জামাল শিকদার, মনিরুজ্জামান, স্বাধীন হাওলাদারসহ অনেকে বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে তারা বাড়ি থেকে ৮টি মহিষ নিয়ে নদীর চরে কম পানিতে ভাসাতে আসেন। ওই সময় ভাসতে ভাসতে দু’টি সাদা রঙয়ের কুমির এসে ২টি মহিষকে ধরে ফেলে অনেকক্ষণ ধরে ধস্তাধস্তি করে।
তখন তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামের লোকজন জড়ো হলেও ভয়ে মহিষ দুটিকে উদ্ধার করার কেউ চেষ্টা করেনি। কিছুক্ষণ পর মহিষ নিয়ে পানির নিচে চলে যায়।
আধা ঘন্টা পর মহিষ দু’টি মরা অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে ২০ গজ দূরে ভেসে ওঠে। একটি মহিষের অর্ধেকাংশ খেয়ে ফেলেছে কুমিরে। বিষয়টি মানুষে প্রত্যক্ষ করায় উপকূলের জেলেদের মধ্যে এখন কুমির আতংক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে সুন্দরবন বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ প্রকল্প ওয়াইল্ডটিমের বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ বিভাষ তালুকদার বরিশালটাইমসকে জানান, সুন্দরবনের খালগুলোতে অভয় আশ্রম হিসাবে কমির গুরি বসবাস করত। বর্তমানে কিছু অসাধু মৎস্য শিকারিরা খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করায়।
সুন্দরবনের খাল থেকে কুমিরগুলো নদীতে বেড়িয়ে গেছে। অনেক জায়গায় এ ধরনের ঘটনা শোনা যায়।
এ ব্যাপারে তিনি সকল মানুষকে নদীতে চলাচলের জন্য সতর্ক থাকার আহব্বান জানান।’’
শিরোনামবরগুনা