বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৮:১৬ অপরাহ্ণ, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খাবার খেয়ে অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার বিপিএল কভার করতে এসে দুপুরে ও সন্ধ্যায় খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা।
জানা গেছে, অসুস্থ ২৫ সাংবাদিকের মধ্যে একজন তরুণ ক্রীড়া সাংবাদিক অর্ণব মজুমদার দীপায়ন (২৭) গতকাল মারা করেছেন। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাক ধারণা করা হলেও মৃত্যুর আগে তিনি পেটের পীড়ায় ভূগছিলেন! তবে তার মৃত্যুর পেছনে এই খাবারের দায় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় শুক্রবার বিসিবির হোয়াটস অ্যাপ মিডিয়া গ্রুপে প্রথম অভিযোগ করেন ডেইলি স্টার অনলাইনের ক্রীড়া সংবাদিক একুশ তাপদ্দার।
তিনি লিখেছেন, বিপিএলে দুপুরে সাংবাদিকদের জন্য যে লাঞ্চ রাখা হয় তা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। বেশ আগে রান্না করে প্যাকেটে থাকা সে খাবার ঠাণ্ডা। এই খাবার খেয়ে গতকাল আমাদের একজন সহকর্মী অসুস্থ-বোধ করেন। আমরা আরও অনেকেই এ কদিন এই খাবার খেয়ে অস্বস্তি বোধ করেছি। আজ তাই আমরা অনেকেই বাইরে গিয়ে খেয়ে এসেছি। ম্যাচ কাভার করতে এসে বাইরে গিয়ে খাওয়া আমাদের পেশাজনিত কারণে একটা সমস্যা। খেলার অনেক কিছু মিস হয়ে যায়। অনুরোধ থাকবে, বিসিবি খাবার দেন ভালো কিন্তু সে খাবার জন্য হয় ফ্রেশ। বেশি কিছু না ভাত, ডিম ডালই দেন তবে তা যেন হয় ফ্রেশ, ধন্যবাদ।
প্রথম আলোর সাংবাদিক রানা আব্বাস লিখেছেন, প্রথম দিনের পর থেকেই আমি এই খাবার পরিহার করছি। বাসা কিছুটা কাছে হওয়ায় এ দফা বেঁচে গেছি! তবে বিষয়টার স্থায়ী সমাধান হওয়ার দাবি রাখি।
বিপিএল-এ বেশ কয়েকবছর ধরেই খাবার সরবরাহ করে আসছে নগরীর বাংলামটরে অবস্থিত সেভেন হিল নামের একটি চাইনিজ রেস্তোরা। এই খাবার নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ থাকলেও নিয়মিতভাবেই তারা খাবার দিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে একটি বক্সে করে তারা যে খাবার দুপুরের জন্য দেন তা রান্না করা হয় বেশ সকালে। যা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পৌঁছতে অনেটাই নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, খাবারের মানও ভীষণ খারাপ। প্রায় প্রতিদিনই পোলাও, মুরগী ও সালাদ দেয়া হয় তাতে বাজে একটা গন্ধ আসে বলে অভিযোগ করেন সংবাদকর্মীরা। অনেকেই প্রতিদিন পোলাও খেতে চান না।
বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কর্তা ব্যক্তিরা খাবার খেয়ে সংবাদকর্মীদের অসুস্থার সংবাদ শুনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এই বিষয়ে গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল গণমাধ্যমকে বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে খুব গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টা দেখবো। খাবার দেয়ার দায়িত্বটা লজিস্টিক বিভাগের। তাদের সঙ্গে কথা বলবো, কেন এমন হলো তা নিয়ে তদন্তও করবো।
অন্যদিকে সদস্য সচিব ও বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, আমি শুনেছি, বিষয়টি অবশ্যই প্রচণ্ড ভাবনার। আমি দ্রুতই খাবার পরিবর্তন করে দেয়ার কথা জানিয়েছি। অবশ্যই আমরা দেখবো কেন এমন হলো আর সামনে যেন এমন না হয়।