বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ, ১২ জুন ২০১৮
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীরা। নিজেদের বিগত দিনের সেই সন্ত্রাসের ইতিহাস চাপা দিয়ে এবারের ভোটের মাধ্যমে আসছে চাইছে প্রকাশ্যে। কিন্তু এক সময়ের সন্ত্রাসীরা এখন ভোটের রাজনীতিতে আসায় সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। বিশেষ করে তাদের ভোটার মাঠে নামার বিষয়টি ওয়ার্ডবাসীকে হতাশায় ফেলে দিয়েছে। শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী এলাকার সন্ত্রাসী এমরান চৌধুরী জামালও এই কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
যদিও তিনি ১৯৯৫ সালে বরিশাল পৌরসভার ওই ওয়ার্ডটিতে কমিশনার ছিলেন। কিন্তু মাস ছয়েক দায়িত্ব পালনের পরে এক ভয়ানক অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। একই এলাকার বাবুকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করেন। সেই ঘটনায় তাকে ৪ বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। পরিশেষে নিহতের পরিবারের সাথে রফাদফা করে আদালত থেকে মুক্ত হতে সক্ষম হন। তবে সেই ঘটনার পরও থেমে থাকেনি জাতীয় পার্টির নেতা এমরানের সন্ত্রাস।
এলাকায় ভূ-সম্পত্তি দখল চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাছাড়া এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন এই ব্যক্তি। সাম্প্রতিকালে বরিশাল সিটিতে ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারন হওয়ার পরে সেই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এমরান চৌধুরীর আকস্মিক মাঠে নামার বিষয়টি পুরো ওয়ার্ডবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে হিন্দু সম্পদায়ের মানুষ বেশিমাত্রায় উৎকণ্ঠায় ভুগছে। পাশাপাশি ওই ওয়ার্ডের সম্ভব্য প্রার্থীরাও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই নেতার সন্ত্রাসের ভাবনায়। এমনকি বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক বাহারও টেনশনে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে- এই ওয়ার্ডটি থেকে এবার ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আওয়াজ তুলে মাঠে নেমেছেন। যাদের মধ্যে এই এমরান চৌধুরী নিজেকে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে দাবি করছেন। তবে তিনি ছিলেন জাতীয় পার্টির এক সময়কার নেতা। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদকে সম্পৃক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে ঢের।
এমতাবস্থায় স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে- আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার। বছরখানেক আগে এই ওয়ার্ডটি থেকে তিনি উপ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। যে কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও এবার বাহারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।
বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে- বিএনপির প্রার্থী বাবুল হাওলাদার ও জামায়াত ইসলামীর মাস্টার মিজানুর রহমানও সন্ত্রাসের প্রশ্নে রীতিমত আতঙ্কিত। এমতাবস্থায় সম্ভব্য প্রার্থীদের জোর দাবি হচ্ছে- তফসিল ঘোষণার আগেই ওয়ার্ডটি সন্ত্রাস মুক্তকরণ। যে কারণে সন্ত্রাস নিমূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তবে এই বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর বাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।’