বিয়ের কথা বলে কিশোরীকে যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বিয়ের কথা বলে কিশোরীকে যৌনপল্লিতে বিক্রি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েছেন মিজান নামে এক তরুণ। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ওই তরুণী রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে কিশোরীকে বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার যৌনপল্লি সংলগ্ন পুড়া ভিটা এলাকার নুরী বাড়িওয়ালির গেট থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার মিজান বেপারী (২৬) চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার রামপুর গ্রামের দেলোয়ার বেপারীর (মৃত) ছেলে। উদ্ধার কিশোরীর বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলবে।
যৌনপল্লির কয়েকজন জানান, সকাল ৭টার দিকে পুড়াভিটার গেট দিয়ে দুজন যৌনপল্লিতে প্রবেশ করে কাকে যেন খোঁজাখুঁজি করছিল। এতে সন্দেহ হলে, তরুণকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি মেয়েটিকে কোথা থেকে এনেছেন।
তখন তরুণ কিছুই বলতে পারছিল না। মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলে সে জানান, ছেলেটি তাকে বিয়ে করা জন্য নিয়ে এসেছে। কিন্তু এটি যে যৌনপল্লি সেটি জানার পরই মেয়েটি কান্না ভেঙে পড়ে। তখন স্থানীয়রা যৌনপল্লির প্রধান গেটে থাকা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মেয়েটিসহ তরুণকে আটক করে।
আটক মিজান বলেন, ‘আমি বছর দশেক আগে যৌনপল্লিতে এসেছিলাম। ঢাকা কামরাঙ্গীরচর এলাকায় রিকশা চালাই। হঠাৎ বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে মেয়টিকে দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি, বোন কোথায় যাবা? মেয়েটি বলে, আমি রাস্তায় থাকি, বাড়িতে কেউ আমাকে আদর করে না। তখন আমি বলি, ঠিক আছে আমি তোমাকে বিয়ে করব, তারপর সংসার করব—এ কথা বলে আমি ওকে সঙ্গে করে নিয়ে আসি।’
উদ্ধার হওয়া মেয়েটি বলে, ‘ছেলেটি আমাকে বিয়ে করার কথা বলে ঢাকা থেকে নিয়ে এসেছে। এখানে এসে বলছে, আমি তোমাকে বিক্রি করে দিব, তাহলে তুমি ভালো থাকবে। এ কথা শুনে আমি কান্নাকাটি করি। স্থানীয়রা আমাদের জিজ্ঞাসা করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘আটক তরুণ মিজান বেপারীর নামে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মানবপাচার মামলা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক তরুণকে রাজবাড়ীর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
দেশের খবর