বরগুনার পাথরঘাটায় আড়াই বছরের এক শিশুকে মায়ের কোল থেকে নিয়ে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে এক শ্রমিকলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই শ্রমিক লীগ নেতার নাম মাহমুদ। ওই শিশুর নাম জান্নাতি। জান্নাতির মায়ের নাম হাওয়া বেগম (২২)। সে উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল মিস্ত্রির স্ত্রী এবং সদর ইউনিয়নের হরিণঘাটা গ্রামের মো. ফারুক দফাদারের মেয়ে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মাহমুদ হাওয়া বেগমকেও মারধর করে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মা ও মেয়ে জান্নাতিকে পাথরঘাটা থানা পুলিশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন পাথরঘাটা থানা পুলিশের কর্মকর্তা ওসি শাহাবুদ্দিন।
অভিযুক্ত মাহমুদ পাথরঘাটা উপজেলা শ্রমীক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মতিউর রহমানের ছেলে। হাওয়া বেগমের স্বামী জামাল মিস্ত্রি মতিউর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
হাওয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী জামালের সঙ্গে আমার তালাক হয়েছিল। তারপর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ফের বিয়ে করে সংসার করার কথা বলে আসছে। এক পর্যায় আমাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায়। সে সময় আমি বিয়ের কথা বললে জামাল আমাকে ঘরের তালা ভেঙে ঘরে উঠতে বলে। আমি তার কথামতো তার ঘরে গিয়ে থাকতে শুরু করি। একদিন পরেই ঘর মালিকের ছেলে মাহমুদ, দুলাল খান ও তার বোন ফাতিমা আমার ঘরে ঢুকে প্রথমে বৃদ্ধ মাকে মারধর শুরু করে। পরে আমি বাঁধা দিলে আমার কোলে থাকা আড়াই বছরের শিশু জান্নাতিকে টেনে ছুঁড়ে মাটিতে ফেলে দেয় মাহমুদ। মেয়েকে ধরতে গেলে পিটিয়ে আমাকে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে জামালের বাসা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘হাওয়া বেগমের কাছে আমার ভাড়া দেওয়া ঘরের তালা ভেঙে প্রবেশের কারণ জানতে চাই। তখন তারা উল্টো আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। পরে সামাল দিতে পুলিশকে অবহিত করি।’
পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার রাতের মারধরের ঘটনার এখনও লিখিত কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে ঘটনার আগের দিন হাওয়ার মা ফিরোজা বেগম থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তার মেয়েকে তার সাবেক স্বামী ফুসলিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে।
বরগুনা, বিভাগের খবর