৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

বিয়ের ৫ মাস পর স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রি!

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৪১ অপরাহ্ণ, ২১ অক্টোবর ২০২২

বিয়ের ৫ মাস পর স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রি!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিয়ের পাঁচ মাস পর স্ত্রীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগে স্বামী ও ননদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় ভিকটিমের বাবা তাজল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় স্বামী সোহাগ ও ননদ সহিদা বেগমকে আসামি করা হয়।এ ঘটনায় আটক সোহাগকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ননদকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

অভিযু্ক্ত স্বামী সোহাগ ও ননদ সহিদা বেগম সদর উপজেলার চরভুতি গ্রামের সফিক উল্লাহর ছেলেমেয়ে। জানা গেছে, প্রায় পাঁচ মাস আগে সোহাগের সঙ্গে কমলনগরের চরকালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার তাজল ইসলামের মেয়ে রিনার বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে সোহাগ স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে বাকি টাকার জন্য বিভিন্ন সময় চাপ দিতেন। এভাবে তাদের দুই মাস কেটে যায়। পরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে যান সোহাগ।

ঢাকা থেকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে চোরাইপথে ড্রামে করে ভারতের কলকাতার কাছাকাছি সোহাগের বোন সহিদার কাছে নিয়ে যান। পরে সোহাগ দেশে চলে আসেন। সহিদা ওইখানকার একটি পতিতালয়ের দায়িত্বে রয়েছে।

এদিকে রিনাকে না পেয়ে তার পরিবার সোহাগকে চাপ দেয়। রিনা ঢাকায় তার বোনের বাসায় আছে বলে জানায়। বিষয়টি টের পেয়ে গত ১০ অক্টোবর রিনার ভাই মো. জাহাঙ্গীর হাজিরহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে সোহাগের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রিনাকে তার বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে সোহাগকে চাপ দেয়। নিরুপায় হয়ে সোহাগ এক সপ্তাহ আগে রিনাকে অজ্ঞান করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। জ্ঞান ফিরলে রিনা বুঝতে পারেন তিনি তার স্বামীর বাড়িতে আছেন।

পরে তিনি গোপনে বাবার বাড়িতে এসে পরিবারের কাছে সব কিছু খুলে বলেন। রিনার পরিবার সোহাগকে যৌতুকের বাকি টাকা দেবে বলে শ্বশুরবাড়িতে যেতে বলে। সোহাগ বুধবার রাতে টাকার লোভে শ্বশুরবাড়িতে আসলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।

ভুক্তভোগী রিনা বলেন, সোহাগ বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আমাকে অজ্ঞান করে ভারতে নিয়ে তার বোনের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেখানে তিন মাস ধরে আমার ইচ্ছার বাইরে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের কথার অবাধ্য হলে আমাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হতো। আমি সোহাগ ও তার বোন সহিদার বিচার চাই।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সোহাগকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, তার বোনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

48 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন