ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের লক্ষ্মীকান্ত ভুঁইয়ার বুক থেকে পিঠে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে ঢুকে গিয়েছিল একটি বাঁশের টুকরো। অপারেশন থিয়েটারে তাকে শোয়ানোও যাচ্ছিল না। আধশোয়া অবস্থাতেই বৃহস্পতিবার টানা তিন ঘণ্টা সফল অস্ত্রোপচার এর পর তার শরীর থেকে বের করে আনা হয় বাঁশের টুকরোটি ।
বুধবার দীঘা-নন্দকুমারগামী একটি বাসকে ধাক্কা মারে একটি বাঁশ বোঝাই লরি। বাসটি চালক ছিলেন লক্ষ্মীকান্তবাবু। হেঁড়িয়ার কাছে ওই দুর্ঘটনার পরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাকে আনা হয় এসএসকেএমে। বা্ম দিকের কলার বোনের নীচ দিয়ে বাঁশের টুকরোটি ঢুকে বেরিয়ে গিয়েছিল পিঠ দিয়ে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল শরীর। প্রায় অচেতন অবস্থায় তাঁকে আনা হয়েছিল।
রাতে অস্ত্রোপচার করার মতো অবস্থাই ছিল না তাঁর। সারা রাত বসিয়েই রাখা হয়েছিল তাকে। এ দিন সকালে তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পরে বাঁশের অংশটি বার করা গেলেও লক্ষ্মীকান্তবাবুকে পুরো আশঙ্কামুক্ত বলতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। তাই তাকে আপাতত ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
যে শল্য চিকিৎসকের অধীনে অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেই চিকিৎসক প্রকাশ সানকি বলেন, ‘‘সবচেয়ে কঠিন ছিল অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া। বসিয়ে গলায় ফুটো করে (ট্র্যাকিওস্টোমি) নলের মাধ্যমে লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া হয়।’’
কয়েক বছর আগে এ ভাবেই এক দুর্ঘটনায় রড ঢুকে গিয়েছিল এক ব্যক্তির বুকে। কলকাতা মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা রডটি বার করেন। বুকে তির বিঁধে যাওয়া এক ব্যক্তিকেও এ ভাবেই অস্ত্রোপচারে নতুন জীবন দিয়েছিলেন এক বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা।