বরিশালটাইমস, ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৮ অপরাহ্ণ, ২৯ মে ২০২৩
ভবিষ্যত নির্বাচনগুলোতে আরও কঠোর হবে ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলোতে আরও কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। সোমবার (২৯ মে) নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, গাজীপুরে নির্বাচনে কতটুকু কী হয়েছে জনগণ তার রায় দিয়ে দেবে। আমরা শুধু বলতে চাই, আগেও চেয়েছি ভবিষ্যতেও চাইবো যতগুলো নির্বাচন করবো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যেন হয়। মানুষ যেন আসে এবং ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে।
শুধু সিটি নয় জাতীয় নির্বাচনেও আমরা একই নীতিতে থাকবো। কঠোর এবং আরও কঠোর হবো কি না এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে আমরা আরও কঠোর হবো।
চার সিটি একপাক্ষিক ভোট হচ্ছে, এতে নির্বাচন কমিশনের তৃপ্তির জায়গা কতটুকু-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে কে আসবে, না আসবে এটা তাদেরই ব্যাপার। যিনি প্রার্থী হবেন, বা হতে চান না, এটি একদমই নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচন কমিশনের ওইভাবে কাউকে আনার সুযোগ নেই।
এলে আমরা অবশ্যই ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন পাবো। না এলেও নির্বাচন করতে হবে। এজন্য তো আমরা স্টপ হয়ে যেতে পারি না। এ কারণে আমাদের তৃপ্তি বা অতৃপ্তির সুযোগটা আসলে নেই।
সিসি ক্যামেরা জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার হবে কি না- জানতে চাইতে রাশেদা সুলতানা বলেন, এ মুহূর্তে আমরা এটি নিয়ে বসিনি। সিসি ক্যামেরা নিয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্তই নেই।
তাই এটি নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারবো না। অন্য নির্বাচনগুলো নিয়ে এখন আমাদের মনোযোগ বেশি। এগুলো গেলে তারপর যখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাজ শুরু করবো।
প্রকৃতপক্ষে সিসি ক্যামেরা, নতুন প্রযুক্তি, ইভিএম, এসব নিয়ে ভোট করতে পারলে নির্বাচন খুবই ভালো হতো। যারা ভোটের আয়োজন করছি তারা স্বত্বিতে থাকতো। কারণ ইভিএমের ভোটটা অনেক দিক দিয়েই সহজ।
জাল ভোট হয় না, সহিংসতা যেটি, এমন নানা দিক থেকে গণনা করা সহজ। অতো টাইমও লাগে না। কিন্তু ইভিএমটা হয়নি, সেজন্য তো হাল ছেড়ে দিলে তো চলবে না। সনাতন পদ্ধতিতে যেটি আগে থেকে হয়ে আসছে, এখন ইভিএমে না হলে আমরা পারবো না, এটা তো বলতে পারবো না।
আমাদের এজন্য আইনে যা আছে ব্যালটে করা, এগুলো যেন আমরা আরও সুন্দরভাবে করতে পারি, সেজন্য আমরা পন্থা অবলম্বন করবো। আমাদের যা আছে তার মধ্যেই যতটা ভালো করা যায় সে চেষ্টা করবো।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ভোট চলাকালে গাইবান্ধার মতো ভোট বন্ধ করার ক্ষমতাটা আমাদের আছে। এখন গেজেট হওয়ার আগে ভোট বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিলাম, সেটিও পেয়েছি।