৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

ভাণ্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংঘর্ষ, ৭ জন জেলহাজতে

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০০ অপরাহ্ণ, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও ছাত্র সমাজ দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়। রোববারের এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত সাতজনকে আটক করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে- রোববার সকালে উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের ছাত্র সমাজের কর্মী মো. নূর আলম ও ছাত্রলীগ কর্মী সুজন হাওলাদার পক্ষ স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পীদের নামের তালিকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।’

এ সময় ছাত্র সমাজের কর্মী নূর আলম আহত হয়। রাত সোয়া ৮টার দিকে আহত নূর আলম ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষ সুজন হাওলাদারের দলবল লাঠি সোটা নিয়ে আহত নূর আলমের ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায়।’

এ সময় রোগীর পক্ষ  ও প্রতিপক্ষের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষকালে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের আসবাবপত্র ও গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে সংঘর্ষকারীদের উভয় পক্ষের সাতজনকে আটক করে। এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফকরুল ইসলাম মৃধা বাদী হয়ে আটক সাতজনের জনের বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করে।

আটক আসামিরা হচ্ছেন- উত্তর শিয়াকাঠি গ্রামের ছাত্র সমাজকর্মী মো: সাইুল ইসলাম (২৪), গিয়াস হাওলাদার (১৮), কাঞ্চন সরদার (২০), জসিম হাওলাদার, নুর আলম, প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মী  সুজন হাওলাদার ও  রিয়াজ  শরীফ। মামলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের  বরিশালটাইমসকে জানান, অভিযুক্তরা সরকারী হাসপাতালে লাঠিসোটা নিয়ে ঢুকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে সরকারী সম্পত্তি বিনস্ট করেছে। আটক সাতজনেক গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার তাদের পিরোজপুর আদালতে সোপর্দ করলে আদালত অভিযুক্তদের জেলহাজতে পাঠায়।

67 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন