বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এখন যুদ্ধ করছে পুরো পৃথিবী। এ ভাইরাসে ইতোমধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হাজার ৬৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৩। করোনাযুদ্ধে ভারতে পালিত হয়েছে জনতার কারফিউ । এটি শেষ হতে না হতেই দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, ২৪ পরগনা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুসহ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে ৮০টি শহর। পুরো ভারতে এক হাজারের বেশি ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। খবর এএফপি, এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এর আগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে রোববার দেশটিতে ‘জনতার কারফিউ’ পালিত হয়। এদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ স্বেচ্ছায় ঘরে বন্দী ছিল। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত এ কোয়ারেন্টাইনকে ‘জনতার কারফিউ’ বলা হচ্ছে। এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পণ্যবাহী বাদে ভারতে সব ধরনের যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে নরেন্দ্র মোদি রোববার জনতার কারফিউর ডাক দিলেও কোনো কোনো রাজ্য জনতার কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়িয়েছে। তার মধ্যে তামিলনাড়ূ অন্যতম। রাজ্যটি আজ স্থানীয় সময় ভোর ৫টা পর্যন্ত জনতার কারফিউ পালন করবে। স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি থাকায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে বলেছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খাবার ও জরুরি ওষুধ কেনা বাদে কাউকে ঘরের বাইরে না আসতে নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভারতজুড়ে স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি থাকা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় কারফিউ চলাকালে নিজেদের দরজা, জানালা ও বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভারতের কোটি কোটি মানুষ পাঁচ মিনিট করতালি, থালা, ঘণ্টা বাজিয়ে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, অপরদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ হাজার ৮৮৪ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।