বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ অপরাহ্ণ, ০১ জানুয়ারি ২০২০
বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি নেয়ার অপরাধে যোগদানের কয়েক বছর পর ১৪ জন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ লাইনের আর ওয়াই এম মশিউর রহমান বাদী হয়ে সোমবার কোতয়ালি থানায় আলাদা তিনটি মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল নম্বর ৮৭৩ মিনাজ হোসেন; তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ফকিরের ছেলে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল ১১৬৫ সালাউদ্দিন; তিনি যশোর সদরের আন্দোলপোতা গ্রামের আফজাল মোল্লার ছেলে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল ৬০৫৯ নাসির উদ্দিন; তিনি যশোর সদরের বলরামপুর-মাথাভাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
ঢাকার এসপিবিএনের কনস্টেবল ১৩৪৯২ দেবাশীষ কুমার বিশ্বাস; তিনি যশোর সদরের নরসিংহকাঠি গ্রামের সাধন বিশ্বাসের ছেলে। খুলনা আরআরএফ পুলিশ কনস্টেবল ১৬৩ নব কুমার বিশ্বাস; তিনি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নরসিংহপুর গ্রামের দিপন বিশ্বাসের ছেলে। নড়াইলের কনস্টেবল ৫০৫ সোনিয়া খাতুন; তিনি যশোর সদরের এনায়েতপুর গ্রামের কওছার আলীর মেয়ে। ঢাকার এন্ট্রিটেরোরিজম ইউনিটের কনস্টেবল ৮২১ রানা হাসান; তিনি যশোর সদরের ঘোপ ছাতিয়ানতলার সাইফুর রহমানের ছেলে।
এছাড়া রয়েছেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল ৬১৬৮ মনিরুজ্জামান; তিনি যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৬০৬৭ বিপদো সিংহ; তিনি যশোর সদরের সুড়া গ্রামের সাধন সিংহের ছেলে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৬১৬০ কনস্টেবল; তিনি অমিত কুমার বিশ্বাস যশোর সদরের নরসিংহকাঠি গ্রামের অজিত বিশ্বাসের ছেলে। নড়াইলের কনস্টেবল ৬১৭ আশিকুর রহমান; তিনি যশোর সদরের আন্দোলপোতা গ্রামের বাশারত হোসেনের ছেলে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল ৩৭২৪৭ সুজল সিংহ; তিনি যশোর সদরের সুড়া গ্রামের কুমারেশ সিংহের ছেলে। ঝিনাইদহের কনস্টেবল ১৪৬৫ বাপ্পি মাহমুদ; তিনি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সাইটখালি গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে। ঝিনাইদহের কনস্টেবল ১২২৪ আলিম উদ্দিন; তিনি যশোরের চৌগাছার কোটালিপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে যশোর পুলিশ লাইন মাঠে পুলিশ কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বিধির ৪ নম্বর কলামে নিয়োগপ্রাপ্তরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে কাগজপত্র দাখিল করেন।
পুলিশের হেডকোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবেদনে জানা গেছে, তাদের দাখিলকৃত কাগজপত্র ভুয়া। সে কারণে কনস্টেবল মিনাজ হোসেন, সালাউদ্দিন ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে চাকরি নেয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
অপর একটি মামলায় একই অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ যশোর পুলিশ লাইনে নিয়োগকৃত দেবাশীষ কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়। পাশাপাশি ২০১৩ সালের ১ জুন নিয়োগ দেয়া নব কুমার বিশ্বাস ও সোনিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা দেয়া হয় একই অভিযোগে।
এছাড়া রানা হাসান, মনিরুজ্জামান, বিপদো সিংহ, অমিত কুমার বিশ্বাস, আশিকুর রহমান, সুজল সিংহ, বাপ্পি মাহমুদ এবং আলিম উদ্দিনকে ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর যশোর পুলিশ লাইন মাঠে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগকৃত ওই ৮ জনও একই ধরণের অপরাধের অপরাধী। তবে এ মামলা করা পর্যন্ত সকলেই যে যার কর্মস্থলে রয়েছেন।