নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ভেঙে পড়েছে বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের সীমানাপ্রাচীরের একাংশ। এ ছাড়া সীমানাপ্রাচীরের বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বাকি অংশও যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বাসভবনের উত্তর পাশের সীমানাপ্রাচীরের একাংশ ভেঙে পেছনের সরকারি কোয়ার্টারের সামনে চলাচলের রাস্তার ওপর পড়ে গেছে।
চলতি বছর বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম আমতলীতে যোগদান করার পরে তার বসবাসের জন্য নির্ধারিত বাসভবনটি অনেক পুরনো ও ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় উপজেলা সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন ভবন নির্মিত না হলে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাকিস্তান আমলে ৬৪ বছর পূর্বে নির্মিত ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানানো হয়েছে। গত কয়েক দিন অতিবৃষ্টির কারণে মাটি নরম হয়ে ব্রিকস দিয়ে নির্মিত সীমানাপ্রাচীরের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল হোসাইন জানান, যেহেতু বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত আমতলীতে অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তা ছাড়া ইউএনও স্যারের বাসার সীমানাপ্রাচীরটি অতি পুরনো হওয়ায় একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। ফাটল দেখা দিয়েছে অনেক জায়গায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমার জন্য নির্ধারিত বাসভবন ও সীমানাপ্রাচীর দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে নির্মিত। অতিবৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে একটি অংশ ভেঙে পড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতে ভয় লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমতলীতে যোগদান করার পরে উপজেলা প্রকৌশলী আমার বাসভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করে। বিষয়টি আমি আমার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আশা রাখছি দ্রুতই বাসভবন নির্মাণের জন্য ভালো খবর পাব।’
বরগুনা, বিভাগের খবর