বন্ধ থাকা ভোলার শাহবাজপুরের ৪ নম্বর কূপ থেকে আবারও গ্যাস উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। আপাতত পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পুরো মাত্রায় উৎপাদনে গেলে এই কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ এমএমসিএফ গ্যাস উৎপাদন হবে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) বন্ধ হয়ে পড়া এই কূপটি দ্বিতীয় দফায় উৎপাদনে আনে।
বাপেক্সের নিজস্ব জনবল, প্রযুক্তি, রিগ ও মালামাল ব্যবহার করে মাত্র দুই মাসের মধ্যে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৪ নম্বর কূপটির ওয়ার্ক ওভার কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত বছরের ২৩ মে বিদেশী কোম্পানি গ্যাজপ্রম ১৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কূপটির খননকার্য সম্পন্ন করে উৎপাদন শুরু করে। কিন্তু মাত্র আট মাসের মাথায় গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ও বালি আসতে শুরু করায় গ্যাসের চাপ কমে যায়।
এর প্রেক্ষিতে বাপেক্স গত ২৮ জানুয়ারি এই কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। কূপটি বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোলায় অবস্থিত ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।
দেশে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে বন্ধ কূপ হতে পুনরায় গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যে বাপেক্স জরুরি ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ওয়ার্ক ওভার কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
ওয়ার্ক ওভার কার্যক্রম শেষে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শাহবাজপুর ৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পুনরায় গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়।
এই কূপ থেকে দৈনিক ২০-২৫ এমএমসিএফ গ্যাস উৎপাদন করা যাবে বলে আশা করছে বাপেক্সে।
এই গ্যাস থেকে ভোলায় অবস্থিত ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র, ৩৪ মেগাওয়াট রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্য গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে বাপেক্সের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান।
খবর বিজ্ঞপ্তি, ভোলা