বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:০০ পূর্বাহ্ণ, ২৬ মে ২০১৭
ভোলায় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরে শ্রমিক চালনা টেন্ডার নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুগ্র“পের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই অফিসের ডাটা এন্টি অপারেটর মো. ইউছুফসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকালে এই ঘটনা ঘটে।
এঘটনার পর ওই অফিসের কর্মকর্তাদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলাকায় পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে।
ভোলা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোলা সদর, দৌলতখান, মনপুরা, বোরহানউদ্দনি, তজুমদ্দনি, লালমোহন, মুখরবান্দা, শশীভুষনণ খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য আদান-প্রদানের জন্য আগামী র্অথ-বছরে ‘শ্রম ও চালনা ঠিকাদার’ নিয়োগ করার জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। ২৮মে র্পযন্ত দরপত্র বিক্রি চলবে । ২৯ মে দরপত্র দাখিল ও বাক্স খোলা শেষ।
সংশ্লিষ্ট ও প্রত্যক্ষর্দশীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা দরপত্র কিনতে যায়। ফরম ক্রয়কে কেন্দ্র করে এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে বাধা দিলে বিপত্তি সৃষ্টি হয়। এ সময় কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষে লিপ্ত হয়।
এ সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরে র্কাযালয়ে ইট-পাটকলে নিক্ষেপ করে আসবাবপত্র ও জানালা ভাঙচুর করে। দুই পক্ষরে সংর্ঘষে অন্তত ১০ আহত হয়। এ সময় জলো খাদ্য নিয়ন্ত্রক র্কাযালয়রে ডাটা-এন্ট্রি অপারটের মো. ইউসুফকে চড়-থাপ্পর মারা হলে অন্যরা অফিস ত্যাগ করে। পরে পুলশি ঘটনাস্থলে আসার খবর শুনলে দুই পক্ষ পালিয়ে যায়।
জেলা যুবলীগ সভাপতি ও ভোলা পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, তিনিসহ যুবলীগের কেউ এ ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জহুল ইসলাম নকিব জানান, যারা এ ধরনের হামলা করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনন্ত কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলনে, তিনি বর্তমানে ঢাকা অবস্থান করছনে। তার অফিসে সন্ত্রাসীরা হামলা করে জানালা ভাঙচুর ও ডাটা-এন্ট্রি অপারটেরকে পিটিয়েছে শুনেছেন।
ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ খাদ্য অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”