‘ধর্ষণের শিকার’ দুই শিশুকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন অসুস্থ এক মা। শিশু দুটির বয়স ৫ ও ৮ বছর। নির্যাতিত দুই শিশুর দেখাশোনার জন্য অনেকটা তাঁকেই ছোটাছুটি করতে হচ্ছে।
মায়ের অভিযোগ- এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও তার লোকজন এলাকা থেকে শুরু করে হাসপাতাল পর্যন্ত—সবখানেই প্রভাব বিস্তার করেছে। হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্রে যৌন নির্যাতনের পরিবর্তে শারীরিক নির্যাতন লেখা হয়েছে। সেই ঘটনায় চার দিন আগে মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
শিশু দুটির মা-বাবার অভিযোগ- তৃতীয় সন্তান প্রসব করার জন্য দুই শিশুকে নিয়ে মা ৭ অক্টোবর নানাবাড়ি যান। পাশেই শিশু দুটির খালার বাড়ি। ৮ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে খালার বাড়িতে কাপড় আনতে শিশুদের পাঠান। পথে লোকমান নামের এক ব্যক্তি জোর করে দুজনকে পাশের একটি পরিত্যক্ত রান্নাঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে লোকমান ও তাঁর আত্মীয়স্বজন সালিসের নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁরা তাৎক্ষণিক শিশু দুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে দেননি।
শিশুদের গোসল করিয়ে আলামত নষ্ট করতে বাধ্য করেন। তবে শেষ পর্যন্ত শিশু দুটিকে নিয়ে মা হাসপাতালে ভর্তি হতে পেরেছেন। কিন্তু হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্রে যৌন নির্যাতনের পরিবর্তে শারীরিক নির্যাতন লেখা হয়েছে। লোকমান ও তাঁর স্বজনদের প্রভাব বিস্তারের কারণেই এ রকম লেখা হয়েছে বলে শিশু দুটির মা-বাবা ধারণা করছেন।
শিশু দুটির মা বলেন, ‘আমি অসুস্থ, নড়তে পারছি না। তারপরও নির্যাতিত মেয়েদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এদিক-সেদিক করতে হচ্ছে। আমি আমার মেয়েদের নির্যাতনের বিচার চাই।’
ভোলার সিভিল সার্জন রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বরিশালটাইমসকে বলেন- চিকিৎসক ভুল করে শারীরিক নির্যাতন লিখে থাকতে পারেন। ভুল হলে সনদ দেওয়ার সময় তা ঠিক করা যাবে। এটি কোনো সমস্যা নয়।’
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শিরোনামভোলা