ভোলা জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার, নার্স ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটের পাশাপাশি যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন সমস্যা জরুরি ভিত্তিতে সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিমকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রবিবার (২৮ আগস্ট) ভোলা জেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মো. নাসিমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোলা এখন বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় জেলা। ভোলা জেলার স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। ভোলা জেলা সদর পাসপাতাল, দক্ষিণ চর আইচা ২০ শয্যা হাসপাতাল, খায়েরহাট দৌলত খানের ৩০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, দৌলতখান, বোরহান উদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন, তজুমদ্দিন এবং মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার, নার্স ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট রয়েছে।
এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করে স্বাস্থ্য বিভাগের অনেক সমস্যা ইতিমধ্যে সমাধান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল সমস্যা সমাধান করা হবে। ইতিমধ্যে বিপুল সংখ্যক ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ডাক্তারদের কমপক্ষে দুই বছর থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক নার্স নিয়োগের বিষয় এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সকল হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুলেন্স, যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। এখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ভোলা জেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার, নার্স নিয়োগসহ বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবার মানউন্নয়নে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য খাতে সমস্যাগুলো চিহ্যিত করে, তা দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে।
এ সময় পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ভোলা জেলার সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।