৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

মঠবাড়িয়ায় আ’লীগের নেতার বিরুদ্ধে দলের সাইনবোর্ড টানিয়ে জমি দখলের অভিযোগ

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:৫০ অপরাহ্ণ, ০৬ জুন ২০২৩

মঠবাড়িয়ায় আ’লীগের নেতার বিরুদ্ধে দলের সাইনবোর্ড টানিয়ে জমি দখলের অভিযোগ

মজিবর রহমান, মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নামের সাইবোর্ড টানিয়ে অন্যের জমি দখল করে দোকান ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে আঃলীগ নেতা ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন হেলাল মুন্সী গংদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা যায়,উপজেলার মিরুখালী বাজার সংলগ্ন ভেরিবাধেঁর উওর পাশে নাপিতখালী মৌজার এস,এ ১০৪ খতিয়ানের ১১৯৪, ১১৯৫ দাগের রেকর্ডীয় মালিক অতুল চন্দ্র হাওলদারের কাছ থেকে ১৯৮০ সালে দাউদখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন আহসাব সাফ কবলা দলিল মূলে সাড়ে ৫ শতাংশ জমির মালিক হন।

অপরদিকে একই দাগের সংখ্যালঘু নিখিল চন্দ্র হাওলাদার,অজিত চন্দ্র হালদার,দুলাল হাওলদার,চা বিক্রেতা বিমল হাওলাদার গংদের ২৬ শতাংশ জমি সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে গত শুক্রবার( ২ জুন) সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন হেলাল মুন্সী, চালিতাবুনিয়ার শহিদুল ইসলাম সর্দার ও ব্যবসায়ী জাকির হাওলাদার নেতৃত্বে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ভেরিবাঁধের ওপর দোকান ঘরের স্থাপনা নির্মাণ করে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। জমির মালিকরা বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈকত রায়হানকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক তিনি ওই অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেন। এরপর গত ৪ জুন পুনরায় ওই জমিতে ঘর উত্তোলনে পাঁয়তারা করেন।

সাবেক উপজেলা যুব লীগের সভাপতি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি সাকিল আহমেদ নওরোজ জানান,২০১০ সনে ওই খালের বাঁধ নির্মাণের ঠিকাদার আমি ছিলাম। আমার জানামতে ওই জমির মালিক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন আহসাব ও সংখ্যালঘু নিখিল গংরা।

দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দলকে বিতর্কিত করে কতিপয় ব্যক্তি যদি কারও ভোগ দখলীয় জমি দখল করার চেষ্টা করস সম্পূর্ণ বেআইনি ও দুঃখজনক ঘটনা।জমির মালিক ইউপি সদস্যের ছেলে নজরুল ইসলাম মামুন গত সোমবার (৪ জুন)দুপুরে মুঠোফোনে জানান,আমার বাবা যাতে মিরুখালি বাজার উঠতে না পারে সেজন্য হেলাল মুন্সি,জাকির হাওলাদার ও সহিদুল সরদার হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

উপজেলা আঃলীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন হেলাল মুন্সি গণমাধ্যমকে জানান, আমি এ দখলের ব্যাপারে জড়িত নই বরং আমি দখলদারদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। যতক্ষণে না জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কোন বৈধ কাগজপত্র না দেয়া হয় সে পর্যন্ত কোন কার্যক্রম চলবে না।

অথচ একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে অহেতুক বদনাম ছড়াচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ বিষয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান জানান দোকান ঘরের স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।পুনরায় কেউ চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।

 

39 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন