মঠবাড়িয়া: রুহুল আমিন নামের পল্লী চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চোখের অপচিকিৎসা দিয়ে আসছিল। ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ওই ভূয়া চিকিৎসককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ফরিদ উদ্দিন রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রুহুল আমিন (৪২) নামের ওই ভূয়া চক্ষু চিকিৎসককে এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। ভূয়া চিকিৎসক রুহুল পার্শ্ববর্তী বামনা উপজেলার গোলাঘাটা গ্রামের মৃত ওয়াহেদ খার পুত্র।
জানাযায়, রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের নিউমার্কেট এলাকায় নিজেকে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চোখের অপচিকিৎসা দিয়ে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পেরে রোববার সকালে রুহুল আমিনকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস, এম ফরিদ উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভূয়া চক্ষু চিকিৎসক রুহুল আমিনকে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর (১), (৩) ধারা অনুযায়ী এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ বশির আহমেদ জানান, এমবিবিএস পাশের পর চোখের ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি বা ট্রেনিং না থাকলে চোখের চিকিৎসা দেয়া যায় না। তিনি আরও জানান, রুহুল আমিন পল্লী চিকিৎসকের একখানা সার্টিফিকেট নিয়ে দীর্ঘ ধরে চোখের চিকিৎসা দিয়ে আসছিল।