বরিশালটাইমস, ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০২ অপরাহ্ণ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মনপুরায় ইউপি সদস্যের ভাই ও ভায়রার কাছ থেকে ভিজিএফ কার্ডের চাল জব্দ
মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি॥ ভোলার মনপুরায় ইউপি সদস্যের ভাই ও ভায়রার কাছ থেকে ৬ বস্তা ভিজিএফ কার্ডের চাল জব্দ করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার হাজীর হাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাফর মেম্বারের ভাই মাহে আলম, শাহে আলম ও ভায়রা শায়জল ব্যপারীর কাছ থেকে এই চাল জব্দ করা হয়। চাল জব্দ করার সময় এলাকাবাসীর তোপের মুখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টায় উপজেলার হাজীর হাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের বাঁধের হাট এলাকা থেকে এই চাল জব্দ করা হয়। পরে মনপুরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে চাল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকাবাসীরা জানান, রোববার সকাল থেকে হাজীর হাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাফর মেম্বারের ভাই মাহে আলম, শাহে আলম ও ভায়রা শায়জল ব্যাপারী ২টি অটোরিক্সা গাড়ী বোঝাই করে বাড়িতে চাল নিয়ে যায়।
অধিক পরিমানে চাল নিতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে তৃতীয় গাড়ি বোঝাই করে চাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধের হাটের মানুষ তাদের পথ রোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জনসাধারানের তোপের মুখে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাফর মেম্বারের ভাই মাহে আলম, শাহে আলম ও ভায়রা শায়জল ব্যপারী চালের বস্তা বোঝাই গাড়ি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা গাড়িতে থাকা ৬ বস্তা চাল জব্দ করে পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে চাল জব্দ করে জাফর মেম্বার ও জড়িতদের বিরুদ্ধে মিছিল ও স্লোগান দিতে থাকেন চাল না পাওয়া স্থানীয় কার্ডধারী জেলেরা। স্থানীয় কার্ডধারী জেলে নুরুল ইসলাম, অজিউল্লাহ, ইউসুফ, কবির, মফু মাঝি, মোসলেউদ্দিন মাঝি, আব্দুল বাসেদ মাঝি, ফারুক বলেন, আমরা পেশাদার জেলে।
এবং আমাদের মৎস্য অফিস কর্তৃক জেলেকার্ড থাকা সত্বেও আমরা কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা বা ভিজিএফ কার্ডের চাল পাইনা। স্থানীয় ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাফর মেম্বার আমাদের কাছ থেকে চাল দিবে বলে ৬শত টাকা করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা চাল পাইনি। অথচ তার দুই ভাই মাহে আলম, শাহে আলম ও ভায়রা প্রত্যেক মাসে গাড়ি বোঝাই করে চাল বাড়িতে নিয়ে যায়। আমরা এদের বিচার চাই।
এব্যাপারে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসমলাম জানান, এলাকাবাসী জব্দ করা ৬ বস্তা চাল আমরা আটক করে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। যেহেতেু চালগুলো সরকারি কিনা তার কোন প্রমান মিলছে না।এবং কাউকে আটকও করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।