ভোলার মনপুরার ক্রসড্যাম (আলম বাজার) সংলগ্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ইতিমধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চলরে কয়েক হাজার কেওড়া গাছ কেটে নিয়ে গেছে প্রভাবশালী চক্রটি। তারপর প্রভাবশালী চক্রটি বাঁধ দিয়ে ঘের করে মাছের চাষ করছে। এই নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে প্রভাবশালী চক্রটি হুমকি-ধামকি দেয় জানিয়েছে নাম না প্রকাশ শর্তে স্থানীয়রা। তবে বনবিভাগে কর্মরত অসাধু একটি চক্র প্রভাবশালীদের সাথে জড়িত বলে দাবি করে স্থানীয়রা।
গত এক সপ্তাহ স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হরিণের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু চক্রটি ফাঁদ পেতে হরিণ ধরে, জবাই করে মাংস বিক্রি করে দেদ্দারচ্ছে। এতে এই বনে হরিণ নেই বললে চলে।
দেশি-বিদেশী পর্যটক হরিণ দেখতে এসে ফিরে যাচ্ছে। চক্রটি হরিণ ধরে ক্ষান্ত হয়নি, বনাঞ্চলের গাছ কেটে উজার করে বনের মধ্যে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- দিনের বেলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে বাঁধ দিয়ে ঘের করছে প্রভাবশালী চক্রটি। এতে ঘেরের মাছ ছাড়ার জন্য পানির পাম্প দিয়ে পানি দিচ্ছে চক্রটি। এছাড়াও বনের ভিতরে একাধিক পুকুর খনন করে মাছ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। এছাড়াও বনের ভিতরে গিয়ে দেখা গেছে- কেটে নেওয়া গাছের অসংখ্য গোড়া পড়ে রয়েছে।
কাটা কেওড়া গাছ গুলি একটি পুকুরে জমা করছে প্রভাবশালীরা। সদ্য জাতীয়করণ অর্ন্তভূক্ত হওয়া হাজিরহাট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন জানান, বনবিভাগের উদাসীনতা ও প্রশাসনের নিরবতার কারণে প্রভাবশালীরা দিনে-দুপুরে ক্রসড্যাম সংলগ্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে উজাড় করছে। এতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হরিণের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পর্যটন শূন্য হয়ে পড়ছে মনপুরা। এছাড়াও পরিবেশ বিপর্যয় হয়ে নদী ঙাঙ্গন ব্যাপক বেড়ে গেছে।
সংরক্ষিত বনাঞ্চল লিজ নেওয়ার দাবি করে আবুল কালাম জানান, আমরা ৭-৮ জন কোড়ালিয়া বিট থেকে তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছি। কোড়ালিয়া বিট কর্মকর্তা সোয়েবুর রহমান জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল লিজ দেওয়ার এখতিয়ার কোন বিট কর্মকর্তার নেই।
আমরা কাউকে লিজ দেয়নি। তবে কারা এই কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বনাঞ্চলের ভিতরে পুকুর খননকারী মানিক জানান, বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে পুকুর খনন করছি। এই ব্যাপারে উপজেলা বনবিভাগের রেঞ্চ কর্মকর্তা সুকুমার শীল জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পুকুর ও ঘের করতে কাউকে লিজ বা অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তবে প্রভাবশালীরা জোর করে বনের ভিতরে ঘের ও পুকুর খনন করছে। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ হাওলাদার জানান, বনবিভাগের সাথে কথা এর ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
শিরোনামবিভাগের খবর, ভোলা