৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

মসজিদে ঢুকে তাবলিগকর্মীকে মারধর, পলাশপুরে উত্তেজনা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:১৯ অপরাহ্ণ, ১০ এপ্রিল ২০১৭

বরিশাল নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মসজিদে লাথি মারাকে কেন্দ্র করে লঙ্কাকান্ড সৃষ্টি হয়েছে। উত্তেজিত জনতা ওই ঘটনার দুই অনুঘটককে পিটিয়েছে। শেষাবধি বিষয়টি স্থানীয় কাউনিয়া থানা ও বরিশাল মহানগর আ’লীগের শীর্ষ মহলে পৌছেছে। অবশ্য বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি এই ঘটনায় প্রতিবাদস্বরুপ মাঠে নেমেছে। চেয়েছে অভিযুক্তদের শাস্তি। এই ঘটনাটি বরিশাল নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর মসজিদ গলি এলাকার। ওই এলাকার খাজা মাইনুদ্দিন মসজিদে স্থানীয় মোস্তফা ও নাসির লাথি মারলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এদের মধ্যে মোস্তফা গত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িয়ে পড়েন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর মসজিদ লাগোয়া ঘরে  বসে মোস্তফা অকথ্য ভাষায় পাশ্ববর্তী একজনকে গালিগালাজ করে। ওই সময় মসজিদে অবস্থানরত তাবলিগ জামায়াতের লোকজন তাকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ওই তাবলিগ জামায়াতের লোকজনদের মারধর করতে মরিয় হয়ে ওঠেন।

অবশ্য এক পর্যায়ে মসজিদে প্রবেশ করে একজনকে টেনে হিচড়ে নিয়ে আসারও চেষ্টা করেন। ওই সময় তাবলিগ জামায়াতের অন্যান্য সদস্যরা ভূমিকা রাখায় তেমন একটা সুযোগ পায়নি মোস্তফা ও নাসির। তবে মসজিদ থেকে বেড়িয়ে তারা তাবলিগ জামায়াতের লোকজনকে গালিগালাজ করেন এবং মসজিদের দেয়ালে বেশ কয়েকটি লাথি মারেন। মুলত এই ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্থানীয় জনতা তাবলিগ জামায়াতের সাথে একত্রিত হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে।

এমনকি সংশি¬ষ্ট কাউনিয়া থানা পুলিশকেও অবহিত করা হয়। যে কারণে কাউনিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু অভিযুক্তর গা ঢাকা দেয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে নিশ্চিত হওয়া গেছে এখন জনরোষ থেকে বাঁচতে দুইজনই মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লহর সরণাপন্ন হয়েছেন।

কাউনিয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের পরবর্তী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন এসেছে নেতা সাদিক আব্দুল্লাহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের সহযোগিতা করবেন কিনা।

ওই মসজিদের মোয়াজ্জেম মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুইজনই মসজিদে ঢুকে হামলার পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু তাবলিগ জামায়াতের অন্যান্য সদস্যদের প্রতিরোধে ভূমিকা রাখায় তেমন একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”

34 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন