বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯:৩২ অপরাহ্ণ, ২৮ জুলাই ২০১৭
সরকারের বৃহত্তম ও ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত পদ্মাসেতু প্রকল্প। এ প্রকল্পে সরাসরি নিয়োগ পেয়েছেন অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। আগামী বছরের মধ্যেই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। এ অবস্থায় সরাসরি নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।
প্রকল্প শেষ হয়ে গেলে বেকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। এ কারণে ইতোমধ্যে অনেকে চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ফাঁকা হওয়া পদগুলোয় আবার নিয়োগ দিতে হচ্ছে। এর থেকে উত্তরণে প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্তদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরকরণের ব্যবস্থা নিতে সেতু বিভাগে চিঠি দিয়েছেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক।
পদ্মাসেতু প্রকল্পে প্রেষণে ছাড়া একটা বড় অংশ সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত। বিজ্ঞপ্তিসহ বিদ্যমান নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রকল্পের কার্যক্রমের এ পর্যায়ে এসে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় নিয়োগপ্রাপ্ত অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
প্রকল্প পরিচালক এসব উল্লেখ করে চিঠিতে বলেন, এতে একদিকে কর্তৃপক্ষের অনেক অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়েছে, অন্যদিকে তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে প্রকল্প।
এর আগে পদ্মাসেতু প্রকল্পের পদগুলো রাজস্ব খাতে সৃজন এবং সংশ্লিষ্ট পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে প্রকল্প পরিচালকের কাছে চিঠি লেখেন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প পরিচালক চিঠি পাঠান।
সেখানে তুলে ধরা হয় বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্তদের পরবর্তী সময়ে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দৃষ্টান্ত। তাতে বলা হয়, সেতু কর্তৃপক্ষের অধীনে যমুনা সেতুর নিয়োগপ্রাপ্তদের পরবর্তী সময়ে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ফিল্ম আর্কাইভ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘চলচ্চিত্র সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সনাতন চলচ্চিত্র সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের কার্যক্রম পুনরুদ্ধারকরণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটি শেষ হলে পরবর্তী সময়ে তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা সাংবাদিকদের জানান, ১৯৯৭ সালের পর শুরু হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। ২০০৯ সালের ২২ মার্চের ওই পত্রে উল্লেখ রয়েছে, ‘উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’