ম্যাচের তখন ৭২ মিনিট। টাচ লাইনে গড়াগড়ি খাচ্ছেন নেইমার। কিন্তু কি হয়েছে- অনেকেই বুঝতে পারছেন না। ছুটে আসলেন রেফারি। একজন নেইমারের পা টাচ করতেই চিৎকার উল্টা পাল্টা লম্ফ, ঝম্ফ। নেইমারকে দেখে মনে হচ্ছিলো হঠাৎ তিনি মারাত্মক কোনো ইনজুরিতে পড়েছেন। কেউ তাকে ভয়ানকভাবে আহত করেছে। কিন্তু কে? কেউ যেন কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না।
আসলে কি হয়েছিল? মেক্সিকোর ম্যাগুয়েল লেউনের পাড়া লেগেছিল নেইমারের গোড়ালিতে। আর তাতেই পড়ে ছটফট করতে শুরু করেন নেইমার। কিন্তু এটাকে বড় কোনো ঘটনা হিসেবে দেখেনি রেফরি। এমনকি মেক্সিকোর কোনো খেলোয়াড়ও এসে নেইমারকে সমবেদনা জানাননি।নেইমার অবশ্য ঠিকই বাকি সময়টা মাঠে ছিলেন। কিন্তু তার ভাব ভঙ্গি দেখে মনে হয়েছিল, বাকিটা সময় ডাগ আউটের বাইরে বসেই কাটাতে হবে তাকে।
মাঠে নাটক করার জন্য বেশ সুপরিচিত নেইমার। ছোট ঘটনা নাকি বড় করে দেখাতে ওস্তাদ তিনি। আজকের এ ঘটনাটাও ছিল তেমনই, এমনটাই বলছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই নিয়ে হাস্যরস চলছে। এটা নেইমারের অভিনয় ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে দবি করা হচ্ছে। নেইমারকে পাকা অভিনেতা বলা হচ্ছে। বিশ্বকাপের পর হলিউডে নাম লেখানোর প্রস্তাবও করছেন কেউ কেউ!
আগের ম্যাচেই কান্নার অভিনয় করে সমালোচিত হন নেইমার।কোস্টা রিকার বিপক্ষে জয়ের পর মাঠের এক প্রান্তে গিয়ে চোখ দুটো দু’হাত দিয়ে ঢেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। খোদ ব্রাজিলিয়ান মিডিয়ার দাবি, ওটা নেইমারের আসল কান্না নয়, অভিনয়।সোমবার রাতে তাহলে কি আরেকটা অভিনয় করলেন নেইমার!
ম্যাচে অবশ্য দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি।সামনে থেকে দলকে এগিয়ে নিলেন। নিজে গোল করলেন এবং গোল করালেন।মেক্সিাকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে দাপটে শেষ আটে ওঠে গেছে এই বিশ্বকাপের ফেবারিট ব্রাজিল, তাতে মহানায়ক নেইমারই। তার গোলেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। শেষ গোলটার উৎসও তিনি। নেইমারের দারুণ ক্রসে শেষ গোলটি করেন ফিরমিনো।
খেলাধুলার খবর