মুলাদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বীনিয়া মাদরাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই মাদরাসার অন্তত ১০ শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ২টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে- পৌর সদরের মুলাদী গ্রামের মজিবুর হাওলাদারের পুত্র মহসিন ও মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন লোক থানার দক্ষিণ পার্শ্বে মুলাদী মোহেব্বিয়া দ্বীনিয়া মাদরাসায় হামলা চালায়। এই হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। মাদরাসার ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মাদরাসার মোহতামিম (শিক্ষক) মাওলানা রাকিবুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান- শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মহসিনের ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের সাথে দ্বীনিয়া মাদরাসার আবির নামের সমবয়সী ছাত্র দুষ্টুমি করে। মহসিনের ছেলে বাড়ি ফিরে বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয় এবং মহসিন, তার ভাই মহিউদ্দিনসহ ৮ থেকে ১০ ব্যক্তি মাদরাসায় হামলা চালায়।
ওই সময় মাদরাসার ছাত্ররা দুপুরের খাবার খাচ্ছিল। ওই সময় অতর্কিত হামলায় শিশু ছাত্ররা আতঙ্কিত হয়ে যে যার মতো করে ছুটাছুটি করে। একপর্যায়ে দৌড়ে পালানোর সময় পুকুরে-রাস্তার পাশে পড়ে ওই ১০ শিশু আহত হয়। এছাড়া হামলাকারীরা আরিফ হোসেনসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে আরিফকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন লিমন বরিশালটাইমসকে জানান- মাদরাসার জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠাতার সাথে মহসিনের বিরোধ থাকায় মাদরাসাকে পুঁজি করে একটি মহল হামলার ঘটনা সাজিয়ে ফায়দা নিতে চাইছে।
মুলাদী থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সাইদ আহমেদ তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বরিশালটাইমসকে জানান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২জনকে আটক করা হয়েছে।”
শিরোনামবরিশালের খবর