ভোলার মনপুরার মেঘনায় নদী থেকে ট্রলারসহ ১৫ মাঝিকে অপহরণ করেছে জলদস্যু সম্রাট আলাউদ্দিন বাহিনী। অপহৃত মাঝিদের ও ট্রলারটি ছাড়িয়ে আনতে জলদস্যু বাহিনীর প্রধান জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দারি করেছে বলে আড়তদার ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে। শনিবার রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
অপহৃতদের মধ্যে ১১ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সুজন মাঝি, জামাল মাঝি, আলাউদ্দিন মাঝি, শাহআলম মাঝি, লোকমান মাঝি, জাফর মাঝি, সেলিম মাঝি, ইলিয়াছ মাঝি, জাহাঙ্গীর মাঝি, শাহাবউদ্দিন মাঝি ও আবদুল হাই।
জলদস্যুদের ধরতে হাতিয়া জোনের কোস্ট গার্ড অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলে কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে। রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এখনও অপহৃত মাঝিদের ও ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। হাতিয়া জোনের কোস্ট গার্ড প্রধান লে. কমান্ডার ওমর ফারুক জানান, খবর পেয়ে অপহৃত মাঝি ও ট্রলারটি উদ্ধারে মেঘনায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মনপুরা থানার ওসি মো. শাহীন খান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে কতজন মাঝিকে অপহরণ করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য এখনো পাইনি।
রামনেওয়াজ ঘাটের মৎস্য আড়ত ও স্থানীয় আহত জেলে সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনকার ন্যায় মাঝিরা বদনার চরসংলগ্ন মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হাতিয়ার জলদস্যু বাহিনীর প্রধান আলাউদ্দিন, কৃষ্ণ, রুবেল ও আরিফ বাহিনী জাগলার চর থেকে ট্রলার দিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও ছড়াগুলি ছুড়ে জেলেদের চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। পরে জলদস্যুরা তাদের জিম্মি করে প্রতি ট্রলার ১৫ জন মাঝিকে হাতিয়ার দিকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়।