‘এবার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে অভিযোগ আসবে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অহেতুক প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে, বিভ্রান্তি ছড়ালে সাইবার সিকিউরিটি আইন আছে, সে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এবার সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করা হবে।’ এমনটি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম।
বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হেলথ রিপোর্টাস ফোরামের সঙ্গে আসন্ন মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতবারও অত্যন্ত স্বচ্ছতার ভেতর দিয়ে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও অহেতুক প্রশ্ন ফাসেঁর গুজব উঠেছে। কিন্তু এবার যদি প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হব। এবারের ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পাঁচজন জেষ্ঠ্য সাংবাদিক এবং একজন শিক্ষককে নিয়ে একটি ওভার সাইট কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবারের প্রশ্নপত্র নিয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি উপস্থাপন করে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর এবছর পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে দূড়ে থাকবে। বিজি প্রেসে প্রশ্ন না ছেপে এবছর স্বাস্থ্য অধিদফতরের ছাপা খানায় প্রশ্ন ছাপা হবে এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার সঙ্গে সেগুলো কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করবেন। প্রশ্নবাহী ট্র্যাংকের ভেতরে থাকবে ট্র্যাকিং ডিভাইস। আমাদের নির্দেশনা ছাড়া কিংবা নির্দেশনার আগে কেউ ট্রাংকের তালা খোলার চেষ্টা করলে ডিভাইস আমাদের সংকেত দেবে।’
এবছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৯০ হাজার ৪২৬ জন অংশ নেবেন জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক(শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) আব্দুর রশীদ বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। এবার মোট ১৮টি কেন্দ্রের ৩৭টি ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ অক্টোবর থেকে পরীক্ষার প্রবেশ পত্র ইস্যু করা হবে।’
হেলথ রিপোর্টাস ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক তৌফিক মারুফ সভায় বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার আগে এরকম নানারকম সভা, আলোচনা হয়, সুন্দর সুন্দর পরামর্শ আসে। তারপরও গুজব ছড়ায়। কিন্তু এবারে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে। তবে এখনও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। ২০১৪ সালের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার কোটা ভিত্তিক ফলাফল নিয়ে মামলা চলছে, কোটা ভিত্তিক ভর্তিতে কারসাজি হয়। এ জায়গাটিতে এখন নজর দিতে হবে।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালিক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।
খবর বিজ্ঞপ্তি