মহান মে দিবসে কাজ করতে না যাওয়ার বালুর জাহাজ শ্রমিক মাসুক হাওলাদারকে (২২) পিটিয়ে আহত করেছেন জাহাজ মালিক ও তার দোকানে ম্যানেজার। মারধরের পর আহত শ্রমিক মাসুককে মালিক ও ম্যানেজার হাসপাতালে এনে মটোরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার নাম করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তার পরিবার পুনরায় তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
১ মে সোমবার দুপুরে শহরের লঞ্চঘাট বেঁড়িবাধ এলাকায় রিফাত অয়েল ষ্টোরের দোকানে এঘটনা ঘটেছে।
আহত মাসুক ও তার স্বজনরা জানান- প্রায় দেড় মাস পূর্বে ঝালকাঠির লঞ্চঘাট এলাকার কাইউম ব্যাপারীর বালুর জাহাজে চাকুরী করে মাশুক। অভাবের সংসারে মাসিক ৬ হাজার বেতনে চাকুরী নিয়ে সে ভাগ করে সাপ্তাহিক হিসেবে বেতনের অংশ নিয়ে আসছিল। ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় মাসুক মালিককে জানিয়ে দেয় যে আগামীকাল পহেলা মে তাই সে ওই দিন কাজে আসতে পারবে না। সে অনুযায়ী ১ মে সকালে মাসুক কাজে না গিয়ে তাদের শ্রমিক সংগঠন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের র্যাললিসহ কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচি শেষে সে বাসায় ফিরলে বালুর জাহাজে মালিক কাইউম ব্যাপারীর ম্যানেজার ফরিদ অন্য একটি মোবাইল থেকে কল দিয়ে তাকে লঞ্চঘাট বেঁড়িবাধ এলাকার ঘাটলা সংলগ্ন রিফাত অয়েল স্টোরে ডেকে নেন।
সেখানে উপস্থিত হতেই কাইউম ব্যাপারীর সামনে তার ম্যানেজার ফরিদ কাজে না আসার অপরাধে চেয়ার দিয়ে পিটাতে শুরু করেন। চেয়ারের আঘাতে মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হলে মালিক ও ম্যানেজার মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার না দেখিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে লিখিয়ে জরুরি বিভাগ থেকে মাথায় ৫টি সেলাই করিয়ে বাসায় নিয়ে আসে।
তারা বাসায় রেখে চলে যাওয়ার পর পরেই কাইউম পুনরায় অসুস্থ হয়ে পরলে তার স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা দ্রুতো তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে তাদের শ্রমিক সংগঠন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ হাসপাতালের ছুটে আসে ও চিকিৎসার খোজ খবর নেয় ও বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে থানা পুলিশকে অবগত করেন।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী কাইউম ব্যাপারী বরিশালটাইমসকে বলেন- হাসপাতালে গিয়ে মাশুককে দেখেছি। দুর্ঘটনা একটা ঘটে গেছে, এটা উপযুক্ত বিচার করে সমাধান করা হবে।”
শিরোনামঝালকাঠির খবর