মৎস্য কর্মকর্তার গাফিলতি: চাল পাননি বেতাগীর ৩১৮৫ জেলে
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: মা ইলিশ রক্ষা এবং প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করতে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী পৌরসভাসহ উপজেলার ৩ হাজার ১৮৫ জন জেলেকে ৭৯.৬২ টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার।
এবার নিষেধাজ্ঞার ১৪ দিনেও চাল পাননি এসব জেলে। এসব জেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে হতাশায় দিন কাটছে। চাল না পাওয়ার কারণে তারা মৎস্য অফিসারের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন।
জানা গেছে, ৭ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে মা ইলিশ শিকার, পরিবহণ ও বিপণন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত। জেলেদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে এই ২২ দিনের জন্য ২৫ কেজি করে উপজেলার ৩ হাজার ১৮৫ জন জেলের জন্য ৭৯.৬২ টন বিশেষ ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার গাফিলতির কারণের ফলে ১৪ দিনেও জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। বেতাগী সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামের জেলে মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘অবরোধের কারণে গত চৌদ্দ দিন ধরে নদীতে নামতে পারছি না। ঘরে খাবার নেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে ধার-দেনা করে অনেক কষ্টে আছি।’ তিনি আরো বলেন, এর আগে এত দেরি কোন মৎস্য অফিসার করেননি।
হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান খান বলেন, জেলেদের জন্য বরাদ্দ চাল বিতরণের অনুমতি পাইনি এখনো পেলে বিতরণ করবো। বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল গাফ্ফার বলেন, সরকার চাল বরাদ্দ দিয়েছে চেয়ারম্যানদের অনুকূলে।
তারা কেন চাল দিচ্ছেন না এ ব্যাপারে আমি কি জানি। তবে দু’তিন দিনের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘শিগগিরই জেলেদের চাল বিতরণে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’
শিরোনামবরগুনা