৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

যারা আত্মসমর্পণ করেনি, তাদের কঠোর পরিণতি হবে

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৫৯ অপরাহ্ণ, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে খুন ও ধর্ষণ ছাড়া বাকি সব মামলা তুলে নেওয়া হবে। তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে, সরকারের পক্ষ থেকে সেই সহযোগিতাও করা হবে। অস্ত্রকারিগরেরা ভালো অস্ত্র বানায়। তারা যদি চায় ওয়ার্কশপ দিতে পারে। সেখানেও সরকার সহযোগিতা করবে।

যারা এখনো আত্মসমর্পণ করেনি, তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, যারা এখনো আত্মসমর্পণ করেনি, আমরা সবার নাম-ঠিকানা পেয়ে গেছি। তারা যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসে, তাহলে তাদের কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে কক্সবাজারে জেলা পুলিশ আয়োজিত জলদস্যু ও অস্ত্রকারিগরদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতীতে যে জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছিলেন, এখন তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। অন্ধকার জগতের এই জীবন কতটা কষ্টের, সেটি তারা টের পেয়েছে। নিজের কষ্ট, দুঃখ-দুর্দশার কথা চিন্তা করে তারা আত্মসমর্পণ করেছিল।

‘আজকে যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তারাও বুঝতে পেরেছে অন্ধকার জগতে জীবন যাপন করা কতটা কষ্টকর। তারা নিজের ভুল বুঝতে পেরে, নিজের ও পরিবারের কষ্টের কথা বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করেছে।’

‘বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই দেশকে দস্যু, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এদেশকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে। এই এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। সাবরাংকে পর্যটনের জন্য বিশেষ জোন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তিন লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। সুন্দরবন এখন দস্যুমুক্ত। আমরা জোর গলায় বলতে পারি, দেশকে দস্যু, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করতে কাজ করছে এ সরকার।

এর আগে এদিন সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর ৯৬ জন জলদস্যু ও অস্ত্রকারিগর। এদের মধ্যে রয়েছেন বহুল আলোচিত অস্ত্রকারিগর জাফর আলমসহ ১৮টি বাহিনীর জলদস্যুরা।

এসময় তারা ১৫৫টি দেশি অস্ত্র, ২৭৫ রাউন্ড কার্তুজ ও অস্ত্র তৈরির নানা সরঞ্জাম জমা দেন।

অনুষ্ঠানস্থলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় আত্মসমর্পণকারী ৯৬ জলদস্যুকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।

২০১৮ সালেও সশস্ত্র ৪৩ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এছাড়া, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে আত্মসমর্পণ করেন ১০২ জন ইয়াবাবিক্রেতা।

16 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন