আধুনিক কারুকার্য ও দৃষ্টিনন্দিত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় নির্মিত সৎসঙ্গ কেন্দ্রের মন্দির। হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র তীর্থস্থান হলেও এটি পর্যটকসহ সকল ধর্মের মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। প্রতিনিয়ত ঐতিহ্য সন্ধানী পর্যটকদের কাছে টানছে এ ধর্মীয় উপসানালয়।
বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে বটবৃক্ষের ছায়ায় শান্ত নিবির নিরিবিলি পরিবেশে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ এ মন্দিরটি। ওই মন্দিরটি দেখতে প্রতিদিনই সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় আসা ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভিড় জমায়।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার পূর্বদিকে মম্বিপাড়া গ্রামে পাঁচ দশমিক ৮০ একর জমির ওপর প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দির ভবনটি ২০০৮ সালে নির্মাণ করা হয়। দক্ষিণমূখী মন্দিরের মুল ভবনের চারিদিকে সীমানা প্রাচীর ঘেরা।
সামনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলে ফলের বাগান ও আচার্য্যদেবর অর্শিবাদপুষ্ট বেল গাছ। তিনতলা মন্দির ভবনের মাঝ দিয়ে রয়েছে দোতালয় ওঠার সিড়ি। সেখান থেকে তৃতীয় তলায় উঠতে দুই দিক দিয়ে বয়ে গেছে আলাদা সিড়ি। পূজা-পর্বণে ব্যাপক ভক্ত সমাগমের কথা বিবেচনা করে ভবনের নিচতলায় তৈরি করা হয়েছে বিশাল অতিথিশালা। মন্দিরের ঠিক পিছন দিকে করা হয়েছে (উত্তর পাশে) রন্ধনশালা। সেখানে বনভোজন উৎসবে আগত সকলে খাওয়ার জন্য চলে রান্না।
মন্দিরের দপ্তর সম্পাদক শিবশঙ্কর পাল শিবা জানান- হিন্দুধর্মের পরম অবতর শ্রী শ্রী অনুকূল চন্দ্রের জম্মোমহোৎসব ও বনভোজন উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ৯ জানুয়ারি মন্দির প্রঙ্গনে ভক্তদের মিলন মেলা বসে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও স্থানীয় হাজার হাজার হিন্দু নরও নারী, বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল নিয়ে উৎসবে যোগ দেয়। হাজার হাজার পূর্নার্থীর ও দর্শনার্থীদের আগমনে এ উৎসব পরিণত হয় মিলন মেলায়। উৎসবে আগত হিন্দু নরও নারীরা পূজা-অর্চনা শেষে গঙ্গার জলে পূণ্যস্নান শেষে বাড়িতে ফেরে।’’
মন্দিরের পুরোহিত চিত্তরঞ্জন আচার্য্য বলেন, মন্দিরে সকাল-সন্ধ্যায় প্রার্থনা করা হয়। এখানে প্রতিদিন লোকজন আসে। তবে প্রতি শুক্রবার পূর্নার্থীর ও দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশী আগমন ঘটে।’
সৎসঙ্গ কেন্দ্রের সভাপতি সূধন্য কর্মকার গোসাই সাংবাদিকদের জানান, মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের পূজা-অর্চনা শেষে পূণ্যস্নান জন্য সাগরপাড়ে যাওয়ার জন্য পথ ও সাগর পাড়ে উন্নতমানের ঘাটলা তৈরির ও বিদ্যুৎ পৌছানো দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন- কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে মম্বিপাড়া মন্দির পর্যন্ত সড়কের পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা মধ্যে প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা এখনও কাঁচা থাকায় ভক্ত ও দর্শনার্থীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষায় যেমন রাস্তা কাঁদা হয় তেমনি শুকনো সময় ধূলাবালিতে চলাচল দূরুহ হয়ে যায়।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী আ.মান্নান বলেন, ওই রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে রাস্তা নির্মান কাজ করা হবে।’’
শিরোনামটাইমস স্পেশাল, পটুয়াখালি